আবারও মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি

সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ জুটি ঘরে দাঁড়াতে সহায়তা করেন বাংলাদেশকে ছবি: শামসুল হক, হ্যামিল্টন থেকে।
সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ জুটি ঘরে দাঁড়াতে সহায়তা করেন বাংলাদেশকে ছবি: শামসুল হক, হ্যামিল্টন থেকে।

অসাধারণ মাহমুদউল্লাহ! টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দেশকে ভাসালেন সেঞ্চুরির গৌরবে। বিশ্বকাপের মহাতারকা হয়ে তাঁর ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটির ওপর ভর করেই হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্চ জানাচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৭ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান। 
সাকিব আউট হয়েছেন ২৩ রানে। ১৮ বলে ৩টি চারে করা এই ইনিংসটির সমাপ্তি যথেষ্ট হতাশাজনক। কোরি অ্যান্ডারসনের যে ওভারটিতে তিনি আউট হয়েছেন, সে ওভারে তাঁর ব্যাট থেকেই আসে দুটি বাউন্ডারি। অফ স্টাম্পের একেবারে বাইরের বলকে চার্জ করতে গিয়েই উইকেটরক্ষক লুক রনকির হাতে ধরা পড়েন তিনি। মুশফিক ফিরেছেন ১৫ রানে। তিনিও দারুণ একটি ইনিংসেরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তাঁর ইনিংসটিরও মৃত্যু-ঘন্টা বাজে ওই অ্যান্ডারসনের বলেই উইকেটের পেছনে রনকির হাতে ধরা পড়ে।
শুরুতে ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে পথ দেখান সৌম্য সরকার। সৌম্য নামতেই ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল পরিস্থিতি। ট্রেন্ট বোল্ট আর টিম সাউদির বোলিং আক্রমণ যেভাবে বাংলাদেশ দলকে ভোগাচ্ছিল, সেই অবস্থা থেকে দলকে বের করে নিয়ে আসলেন সৌম্য। পাল্টা আক্রমণে চাপটা সরিয়ে নিলেন দলের কাঁধ থেকে। রানের চাকাকে করলেন সচল। একদিনের ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটিটি পেলেন আজ তিনি। যদিও ৫১ রানে তাঁর ইনিংসটির অপমৃত্যু ঘটেছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির বলে, কোরি অ্যান্ডারসনের হাতে ধরা পড়ে।
সৌম্যর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন আছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ। ৯০ রানের এই জুটি এই ম্যাচে বাংলাদেশকে দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে।