ঘোর কাটছে না হেনরির

ম্যাট হেনরি
ম্যাট হেনরি

রঙ্গমঞ্চের শেষ অঙ্ক। টানটান উত্তেজনা। কিন্তু একজন কুশীলব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। কী আর করা, বদলি হিসেবে নামাতে হলো আরেকজনকে। শেষ পর্যন্ত পাদপ্রদীপের আলোয় এসে পড়লেন পাকেচক্রে সুযোগ পেয়ে যাওয়া অভিনেতাই।
ম্যাট হেনরির কাছে পুরো ব্যাপারটাই এখন যেন স্বপ্নের এই চিত্রনাট্যের মতো মনে হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ একটা ফোন এল। ওপাশ থেকে নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসন খবরটা দিলেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসারকে। চোট পাওয়া অ্যাডাম মিল্নের জায়গায় ডাকা হয়েছে হেনরিকে, পত্রপাঠ তাঁকে চলে আসতে হবে অকল্যান্ডের ক্যাম্পে। এলেন এবং সরাসরি নেমে পড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সেমিফাইনালে। কোনো উইকেট পাননি, তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁকে বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া সবচেয়ে দুর্ভাগাদের একজন বলা হচ্ছিল।
পাকিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেও বিশ্বকাপে সুযোগ মেলেনি। কী আর করা, নিয়তিকে মেনে নিয়েই ক্রিকেট খেলে যাচ্ছিলেন। আগের সপ্তাহেই খেলেছেন প্লাঙ্কেট শিল্ডের ম্যাচে। সেই নিস্তরঙ্গ জীবন থেকে হেনরি এখন জীবনের সবচেয়ে বর্ণিল সময়টা কাটাচ্ছেন। সেদিন মেলবোর্নের ইয়ারা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই ২৩ বছর বয়সী পেসার, তাঁর চোখেমুখে এখনো যেন লেগে রয়েছে ঘোর, ‘বিশ্বাস করাটা একটু কঠিনই, নিজেকে চিমটি কেটে দেখতে হচ্ছে আমার। এই সুযোগটা অবিশ্বাস্য। প্লাঙ্কেট শিল্ডে খুব বেশি মানুষ তো ছিল না, অথচ ইডেন পার্কে সবাই আমাদের নাম ধরে চেঁচাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন ৯০ হাজার দর্শক। একেবারেই অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা।’
ফাইনাল দেখতে আসার কথা ছিল শুধু হেনরির ভাইয়ের। টিকিটও করে ফেলেছিলেন। এখন তো পরিবারের সবাই থাকবেন মেলবোর্নে। কিন্তু ৯০ হাজার দর্শকে ঠাসা এমসিজিতে হেনরির নাম ধরে খুব বেশি মানুষ চেঁচাবেন না। সেটি নিয়ে অবশ্য মোটেই চিন্তিত নন এই বাঁহাতি পেসার, ‘এখানেও অনেক কিউই থাকবে, এটা তেমন কোনো ব্যাপার হবে না।’ এএফপি।