আগামী বিশ্বকাপে চোখ সাকিবের

সাকিব আল হাসানের চোখ পরের বিশ্বকাপে। ফাইল ছবি
সাকিব আল হাসানের চোখ পরের বিশ্বকাপে। ফাইল ছবি

আইপিএলে খেলতে আজ ভারতের উদ্দেশে বিকেলে রওনা হওয়ার কথা সাকিব আল হাসানের। দুপুরে বনানীতে নিজের বাসায় কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। প্রশংসায় ভাসালেন দলের তিন তরুণ তুর্কি সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদকে। আশা প্রকাশ করেছেন র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরে উঠে আগামী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এড়ানোরও।
দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেশ তৃপ্ত সাকিব, ‘এবার বিশ্বকাপে আমাদের নতুন খেলোয়াড়েরা ভালো করেছে। দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। সৌম্য, রুম্মন (সাব্বির), তাসকিন ভালো পরফর্ম করেছে। সিনিয়ররাও ভালো খেলেছে। দল ভালো অবস্থায় আছে। তরুণেরা যারাই আসবে ভালো খেলবে।’
এবার বিশ্বকাপ তো গেলই। চোখ এখন আগামী বিশ্বকাপে। ২০১৯ বিশ্বকাপ হবে আবার ইংল্যান্ডে। ইংলিশ কন্ডিশনও তো চ্যালেঞ্জিং। সাকিব অবশ্য তা মনে করেন না, ‘বিশ্বকাপে কন্ডিশন ভিন্ন হলেও উইকেটের পার্থক্য খুব একটা ভিন্ন হয় না। এবার নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় দেখেছেন, অনেক রান এসেছে। ঘরের মাঠের সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারটা ভুল ধারণা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোতে হয়তো অন্যরকম হয়। কিন্তু বিশ্বকাপ ভিন্ন। আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর পিচ আইসিসির কিউরেটাররা তৈরি করেন বলে সেগুলো স্পোর্টিং উইকেট হয়। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনেও বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর জন্য রান তোলা কঠিন হয়নি।’
বাংলাদেশেও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বাউন্সি পিচ তৈরি করা যায় কিনা এমন প্রশ্নে সাকিব বললেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলোয় উইকেট অতটা স্পোর্টিং হয় না। সবাই ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে চাই।’

আগামী বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের অংশগ্রহণে, এটা অনেকটাই চূড়ান্ত। শীর্ষ আট দল খেলবে সরাসরি, বাকি দুটো দলকে পেরিয়ে আসতে হবে বাছাইপর্ব। র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকলে বাংলাদেশকেও খেলতে হতে পারে বাছাইপর্ব। এ নিয়ে সাকিব আশার কথাই বললেন, ‘আমরা যদি বড় দলগুলোকে হারাতে পারি,  র‍্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠার সুযোগ থাকবে । তাতে শীর্ষ আটে থাকা যাবে।’