মেসির চোট কতটা গুরুতর?

চোট চিন্তা বাড়িয়েছে বার্সার। ছবি: রয়টার্স
চোট চিন্তা বাড়িয়েছে বার্সার। ছবি: রয়টার্স

জমে উঠেছে লা লিগা। কখনো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়িয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনাকে, কখনো-বা রিয়ালকে বার্সা। তবে পয়েন্ট টেবিলের সর্বশেষ চিত্রটা বার্সার পক্ষেই। ২৮ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে বার্সা। নিজেদের অগ্রগামিতা ধরে রাখতে রোববার বার্সা নামবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে। ওদিকে ১৫ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামতে হবে পিএসজির বিপক্ষে। গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে বার্সা সমর্থকদের চিন্তা বাড়িয়েছে লিওনেল মেসির চোট।
চোটের কারণে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলতে পারেননি এল সালভাদর ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ। মেসিকে খেলানোর ব্যাপারে কোচ জেরার্ডো মার্টিনো জানিয়েছেন, ‘শেষ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। দুর্ভাগ্য, তা সম্ভব হয়নি। তাঁকে দেখতে দর্শকদের আশা-প্রত্যাশা বুঝি। কিন্তু সত্যি সেদিন ফিট ছিল না। বুট পরতে ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল। খেলানোর কোনো উপায় ছিল না। ঝুঁকি নেওয়া-না নেওয়ার ব্যাপার ছিল না, সে আসলে খেলার অবস্থাতেই ছিল না।’
বার্সেলোনার হয়ে এল ক্লাসিকো খেলার সময়ই চোট পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু চোটটা নাকি আরও পুরনো। সিটির বিপক্ষে ফিরতি লেগে যেখানে চোট পান, এল ক্লাসিকোতে সেখানেই আবার আঘাত। মেসির ডান পায়ের পাতা ফুলে আছে। ব্যথা পাচ্ছেন বুট পরলেই। কথা হলো, এ অবস্থায় লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন মেসি?
শোনা যাচ্ছে, মেসির না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। চোটটা কতটা গুরুতর সেটাও খোলাসা করে বলা হচ্ছে না। মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টায় বেশিকে বেশি দিন মাঠের বাইরে রাখতে হলে ভীষণ ক্ষতির মুখে পড়বে বার্সা।

মেসি সর্বশেষ বড় চোটে পড়েছিলেন ২০১৩ সালে নভেম্বরে। প্রায় দুমাস ছিলেন দলের বাইরে। তাতে কত বড় ‘ক্ষতি’ হয়েছিল বার্সার, নিশ্চয় জানা আছে। সেবার তো প্রায় খালি হাতেই মৌসুম শেষ করতে হলো বার্সাকে। কিন্তু এবার, বিশেষ করে এ বছর পুরোনো ধার ফিরেছেন বার্সা ফরোয়ার্ড, দলও আছে দারুণ ছন্দে। ২৮ ম্যাচে ৩২ গোলে লিগে শীর্ষ অবস্থানে মেসির। পুরোনো ফর্মে ফিরতে দেখে হাসি ফুটেছে বার্সা সমর্থকদের। কিন্তু সে হাসির আড়ালেই উড়ছে শঙ্কার মেঘ; শঙ্কাটা মেসির চোট নিয়েই। তথ্যসূত্র: ইএসপিএন।