উদ্যাপনকে নেতিবাচকভাবে নেবেন না, অনুরোধ তামিমের

.
.

নিজেকে একটু দুর্ভাগাই ভাবতেই পারেন তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ৯৫ রানের ওপর ভিত্তি করেই জিতেছিল দল। তবুও ম্যাচসেরা হতে পারেননি। ম্যাচসেরা হতে পারেননি গত ম্যাচে ১৩২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও। অবশেষে ধরা দিল পুরস্কারটা। আজও দারুণ এক সেঞ্চুরির পর তাঁকে ম্যাচসেরা নির্বাচিত করতে এতটুকু সমস্যা হয়নি বিচারকদের।
দুদিন ধরেই আলোচনায় তামিমের গত ম্যাচে সেঞ্চুরির পর সেই উদ্‌যাপন। যথারীতি আজও সেঞ্চুরির পর করলেন উপভোগ্য এক উদ্‌যাপন। সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই উঠল এ প্রসঙ্গ। তামিমের অনুরোধ, উদ্‌যাপনগুলো নেতিবাচকভাবে না নেওয়ার, ‘আসলে আমি পরিকল্পনা করে উদ্‌যাপন করিনি। খুশি মনে মানুষ অনেক কিছুই করে। আমিও খুশি মনে করেছি। কাউকে আঘাত বা দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়। যে কদিন আমি উদ্‌যাপনের পরিকল্পনা করেছি, সেদিন সেঞ্চুরি করতে পারিনি! তাই প্লিজ আমার উদ্‌যাপনকে নেগেটিভলি নিয়েন না। বোঝার চেষ্টা করুন, আমি কতটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আসলে হতাশা থেকেই অমন উদ্‌যাপন (গত ম্যাচে) করেছিলাম। কাউকে কষ্ট দিতে নয়। আমি (ক্রিস্টিয়ানো) রোনালদোর ভক্ত। তাঁর মতোই করতে চেয়েছি।’
যখন রান পাননি, চারদিক থেকে ধেয়ে আসছিল একের পর এক সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা খোঁচাখুঁচি। তামিম কোনো মাধ্যমকেই এ জন্য দায়ী করছেন না। কেবল অনুরোধ করছেন তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে যেন কোনো আক্রমণ না করা হয়। বললেন, ‘ক্রিকেট ইজ আ ভেরি ফানি গেম। এখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। কখনো ভালো সময় যাবে, কখনো বা খারাপ। এ কারণে সমালোচনা থাকবে। এটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমার নেই। তবে খারাপ খেললে খারাপ বলবেন, ভালো খেললে ভালো। শুধু শুধু কেন আমার পরিবারকে টেনে আনা? আমার পরিবার নিশ্চয় ব্যাটিং করে না। ব্যাটিং করি আমি। যা বলার আমাকে বলেন। আমার পরিবারকে কেন? পরিবারকে জড়িয়ে কিছু বললে মানসিকভাবে ধাক্কা খেতে হয়। গত কমাস আমি ও আমার পরিবার কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তবে ফেসবুক বলেন, মিডিয়া বলেন; আমি কোনো মাধ্যম বা কাউকে দায়ী করছি না। শুধু অনুরোধ, সমালোচনা আমার পর্যন্তই থাকুক।’
তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পরপর দুটি সেঞ্চুরি করলেন। কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন তামিম? বললেন, ‘প্রথমটি। কারণ, তখন খানিকটা চাপ অনুভব করেছিলাম। চাপ কাটিয়ে সেঞ্চুরি করায় ওটাই এগিয়ে রাখব।’