টেস্টে পাকিস্তান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান

পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ মানেই বাংলাদেশের হতাশার গল্প। পরিসংখ্যানেও এর প্রতিচ্ছবি! তবু প্রেরণা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে সাকিব-মুশফিকদের
মুখোমুখি
ম্যাচ বাংলাদেশ পাকিস্তান
৮         ০         ৮

১ উইকেটে

২০০৩ সালের মুলতান টেস্ট বাংলাদেশের চিরকালীন এক আক্ষেপ। ২৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা পাকিস্তান ১৬৪ রানে সপ্তমও ২০৫ রানে হারিয়েছিল অষ্টম উইকেট। কিন্তু ইনজামাম-উল-হক (১৩৮*) উমর গুলকে নিয়ে নবম উইকেটে ৫৫ রান তুলে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে জিতিয়ে দেন। টেস্টে উইকেটের হিসাবে এটাই সবচেয়ে কম ব্যবধানে হার বাংলাদেশের।
প্রথম
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে প্রথম লিড নেয় পাকিস্তানের বিপক্ষেই (পেশোয়ার, ২০০৩)।
৫৯৪/৫
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ইনিংস, চট্টগ্রাম, ২০১১
৩৬১
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ, পেশোয়ার, ২০০৩
৫৫৮
সবচেয়ে বেশি রান তৌফিক উমরের
৫৫৪
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান হাবিবুল বাশারের
২০৪*
সর্বোচ্চ ইনিংস মোহাম্মদ ইউসুফের
১৪৪
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস সাকিব আল হাসানের
৩৪
সবচেয়ে বেশি উইকেট দানিশ কানেরিয়ার
১৭
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট মোহাম্মদ রফিকের।
৭/৭৭
সেরা বোলিং দানিশ কানেরিয়ার
৬/৮২
বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং সাকিবের

এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ৩৭৯ রান হাবিবুল বাশারের।
টেস্টের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকেই ইয়াসির হামিদের জোড়া সেঞ্চুরি (১৭০ ও ১০৫), করাচি ২০০৩
২০০১ সালে মুলতানে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের ৫ ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ (৩৬১) ও সর্বনিম্ন (৯৬) দুটি ইনিংসই ২০০৩ সালের পেশোয়ার টেস্টে।
বাংলাদেশর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১১ সালে।

খুলনার স্মৃতি
খুলনায় আগের দুটি টেস্টের একটিতে হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে অন্যটিতে। আজ খুলনায় আরেকটি টেস্ট শুরুর আগে মুশফিকদের জন্য প্রেরণাদায়ী তথ্য—এই খুলনাতেই ১০ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন আবুল হাসান, ম্যাচে সেঞ্চুরির পর ১০ উইকেট নিয়েছিলেন
সাকিব আল হাসান—
. বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১২
বাংলাদেশ: ৩৮৭ (আবুল হাসান ১১৩, মাহমুদউল্লাহ ৭৬, নাসির ৫২; এডওয়ার্ডস ৬/৯০, স্যামি ৩/৭৪) ও ২৮৭ (সাকিব ৯৭, নাসির ৯৪; বেস্ট ৬/৪০, পেরমল ৩/৬৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬৪৮/৯ ডি. (স্যামুয়েলস ২৬০, চন্দরপল ১৫০*, ব্রাভো ১২৭; সাকিব ৪/১৫১, সোহাগ ৩/১৬৭, রুবেল ২/৮৬) ও ৩০/০ (গেইল ২০*)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মারলন স্যামুয়েলস।
. বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, ২০১৪
বাংলাদেশ: ৪৩৩ (সাকিব ১৩৭, তামিম ১০৯, মাহমুদউল্লাহ ৫৬; পানিয়াঙ্গারা ২/৪৯, চাতারা ২/৬১, ওয়ালার ২/৬৫) ও ২৪৮/৯ (মাহমুদউল্লাহ ৭১, মুমিনুল ৫৪, শুভাগত ৫০; ওয়ালার ৪/৫৯, মুশাঙ্গুয়ে ৪/৮২)। জিম্বাবুয়ে: ৩৬৮ (মাসাকাদজা ১৫৮, চাকাভা ১০১; সাকিব ৫/৮০, তাইজুল ৩/৯৬, রুবেল ২/৫৫) ও ১৫১ (মাসাকাদজা ৬১, চাকাভা ২৭; সাকিব ৫/৪৪, তাইজুল ৩/৪৪, জুবায়ের ২/৪২)।
ফল: বাংলাদেশ ১৬২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাকিব আল হাসান।