এক নজরে সেপ ব্ল্যাটার

সেপ ব্ল্যাটার
সেপ ব্ল্যাটার

এক দিন আগেই ছিলেন ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ১৭ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ফুটবল বিশ্বে। দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করা এই সুইস ভদ্রলোক সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো ফিফা সভাপতি হওয়ার আগে খুব কম মানুষই জানতেন তাঁর নাম। অথচ, অনেক আগে থেকেই ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিনি কী কোনো দিন ফুটবল খেলেছেন? ফিফার মতো একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদাধিকারী এই ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী! প্রিয় পাঠক আসুন, একটিবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সদ্যই ফিফার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করা সেপ ব্ল্যাটারের জীবনের বিভিন্ন দিকে...
জন্ম
সেপ ব্ল্যাটারের জন্ম ১৯৩৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ভিসপ শহরে।

ফুটবলার জীবন
কোনো দিন পেশাদার ফুটবল খেলেননি। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে খেলেছেন সুইজারল্যান্ডের অ্যামেচার লিগে।

শিক্ষাজীবন
১৯৫৯ সালে তিনি ব্যবসায় প্রশাসন ও অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন
পড়াশোনা শেষে তিনি চাকরি নেন সুইজারল্যান্ড ট্যুরিস্ট বোর্ডে। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ বিভাগে চাকরি করেন।

সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড
১৯৬৪ সালে তিনি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সুইস আইস-হকি ফেডারেশনের। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

বিশ্ব ক্রীড়ায় প্রবেশ
১৯৬৮ সালে তিনি কর্মরত ছিলেন একটি সুইস ঘড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে। এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালের অলিম্পিক গেমসের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অলিম্পিকের এই দুটি আসরে সাংগঠনিক ভূমিকা পালন করেন। এসময় (১৯৭৫) তিনি ফিফার ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য হন।

ফিফায় ব্ল্যাটার
১৯৭৫ সালের পর ব্ল্যাটারকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থায় প্রথমে হন ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান। ১৯৮১ সালে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন ফিফার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিশ্বকাপের টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৯৮ সালে তিনি ফিফার সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর টানা ১৭ বছর তিনি ফিফার সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন।