সাতক্ষীরার 'দুই দেশি' ভাইয়ের গল্প

সাতক্ষীরার দুই তরুণ তুর্কি সৌম্য ও মুস্তাফিজ।  ছবি: জাহিদুল করিম
সাতক্ষীরার দুই তরুণ তুর্কি সৌম্য ও মুস্তাফিজ। ছবি: জাহিদুল করিম

ব্যাট হাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামলেন সৌম্য সরকার। স্বভাবসুলভ সব শটে ৪০ বলে ৫৪ রানে এনে দিলেন দারুণ সূচনা। দল শেষ করল ৩০৭।

ভারতকে আটকাতে শুরুতেই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলটা তুলে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। ওয়ানডে অভিষেকই উপহার দিলেন একের পর এক বিস্ময়। অভিষিক্ত ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সবাইকে। ম্যাচ শেষে দুজনের হাতেই উঠল পুরস্কার। সৌম্য পেলেন ‘স্টাইলিশ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচে’র পুরস্কার আর মুস্তাফিজ ম্যাচসেরা।
কী দারণ মিল, একজন ব্যাটিং, অন্যজন বোলিংয়ে সূচনা করছেন। দুজনই এসেছেন সাতক্ষীরা থেকে। বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটার হওয়ার গল্পের শুরু সেখানে থেকেই।
কাল মুস্তাফিজ বললেন তাঁর শুরুর গল্প। সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে একসময় ফাইভ স্টার বলে ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু তাঁর ক্রিকেটার জীবনের। সৌম্যের শুরু সাতক্ষীরা শহরের স্থানীয় এক ক্লাব থেকে। মুস্তাফিজুরের ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে যেমন শেজো ভাই মোখলেছুর রহমানের বিরাট অবদান, তেমনি সৌম্যের ক্ষেত্রে বড় ভাই পুষ্পেন সরকারের।
দুজনের বাড়ির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের মতো। তবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে সাতক্ষীরায় কখনো তাঁদের দেখা হয়নি। সৌম্য বললেন, ‘জাতীয় দলে ঢোকার দু বছর আগে ওকে একবার দেখেছিলাম, ঢাকায়। অবশ্য তখনো সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পায়নি। সাতক্ষীরায় আগে কখনো দেখা হয়নি।’
যদিও দুজনই তরুণ। তবে বয়স ও অভিজ্ঞতায় সৌম্যই সিনিয়র। সে ক্ষেত্রে তাঁকেই ‘বড় ভাই’য়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। সৌম্য জানালেন, ‘যেহেতু আমি সিনিয়র; চেষ্টা করি মাঠে ও মাঠের বাইরে সব সময় ওকে সাহস বা উৎসাহ দিতে। বলি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
সৌম্য জানালেন, দুজন নাকি একে অপরকে ‘দেশি-দেশি’ বলে সম্বোধন করেন। খানিকটা হেসে বললেন, ‘জাতীয় দলে খেলা বা অন্যান্য ম্যাচে একই সঙ্গে খেললে বেশির ভাগ সময় আমরা একসঙ্গেই থাকি।’