এবার লক্ষ্য সিরিজ জয়

খেলার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন—এসব আনুষ্ঠানিকতা সেরে যখন হোটেলে ফিরলেন, রাত সোয়া একটা-দেড়টা হয়ে গেছে। জয়ের উচ্ছ্বাসের চেয়ে বেশি ছিল তখন ক্লান্তি। রাত পোহালে আবার রোজাও শুরু। প্রথম ওয়ানডেতে পরশু ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর তাই উদ্যাপন যেটুকু হয়েছে, ড্রেসিংরুমেই। হোটেলেও তেমন কিছু হয়নি। বিশ্রামেই কেটেছে কালকের দিনটা। খুব জরুরি ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়া সারা দিনে হোটেল থেকে বেরই হননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। বিশ্রামটা অবশ্য দরকারও ছিল। আগামীকাল দ্বিতীয় ওয়ানডে, আজই আবার অনুশীলনে নেমে পড়তে হবে। এ ম্যাচটি জিতলেই সিরিজ বাংলাদেশের, এক ম্যাচ হাতে রেখেই!
এটাই অধিনায়ক মাশরাফির লক্ষ্য। পরশু ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই বলেছেন, ‘শুরুটা দারুণ হয়েছে। এখন আমাদের ভাবনায় পরের ম্যাচ। আমরা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাই।’
পরশুর ম্যাচে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাই হয়েছেন, দারুণ বল করেছেন বাংলাদেশের অন্য বোলাররাও। চার পেসার খেলানোর সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন মাশরাফি নিজেও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক কিন্তু জয়ের সমান কৃতিত্ব দিয়েছেন ব্যাটসম্যানদেরও, ‘পাকিস্তান সিরিজ থেকেই আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা একটা ম্যাচে ২৫০ রান তাড়া করেছি ৪০ ওভারের মধ্যে। ওই ম্যাচে আমরা হয়তো তিন শ রানও তাড়া করতে পারতাম। এই ম্যাচেও ছেলেরা দারুণ ব্যাটিং করেছে। বৃষ্টির পর আমরা কয়েকটা উইকেট হারিয়েছি, কিন্তু আবার জুটিও গড়েছি। সব মিলিয়ে যেভাবে আমরা ব্যাট করছি তাতে আমি খুবই খুশি। ছেলেরা ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলছে।’
সেই ভয়-ডরহীন ক্রিকেটের ফলই ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে টানা নবম জয়, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে উঠে আসা। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা এই বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজে ফেরা কঠিন হবে বলেই মনে করেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথম ওয়ানডেতে হারের ধাক্কা সয়ে কালকের দিনটা ভারতও বিশ্রামে কাটিয়েছে হোটেলে। তবে পরশু ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই ধোনি বলে গেছেন, ‘তিন ম্যাচের সিরিজে যখন আপনি প্রথম ম্যাচটা হেরে যাবেন, বাকি ম্যাচগুলো স্বাভাবিকভাবেই কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল-ফাইনালের মতো হয়ে যায়। এ ছাড়া বৃষ্টির শঙ্কা থাকায় আরও অনেক কিছু মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং ঘুরে দাঁড়ানোটা ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ তো বটেই।’