পাকিস্তানের পর ভারত বধ

.
.

একের পর এক সুখবর। একের পর এক উদযাপন। মিরপুর যেন এখন উৎ​সবের অফুরন্ত উৎ​সস্থল। মাত্রই কদিন আগে পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার পর এবার ভারতকেও প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজে হারাল বাংলাদেশ। সেটিও এক ম্যাচ হাতে রেখেই। প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় পেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে মাত্র ২০০ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট নিয়ে আবার প্রায় একাই ভারতকে ধসিয়ে দিয়েছেন তরুণ মুস্তাফিজুর রহমান। বৃষ্টির কারণে ৪৭ ওভারে নেমে এসেছিল ম্যাচের আকার। ডি/এল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়েছিল ২০০ রান। ৫৪ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে ফিফটি করা সাকিব আজও দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই অপরাজিত থেকে ফিরেছেন। সৌম্য সরকারের ৩৪, লিটন দাসের ৩৬, মুশফিকুর রহিমের ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংসগুলো বড় ভূমিকা রেখেছে জয়ে। সাব্বির ২২ রান করেছেন। তবে মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে তাঁর ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের জয়। এর আগে ৯৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে টেনে তোলে সাকিব-মুশফিকের ৫৪ রানের জুটি।
তবে সবাইকে ছাপিয়ে নায়ক মাত্রই দলে আসা মুস্তাফিজুর। একের পর এক বিস্ময় উপহার তিনি দিয়েই চলেছেন। মাত্র ৪৩ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব। গত ম্যাচের মতো আজও দ্বিতীয় স্পেলে হয়ে উঠেছিলেন বিধ্বংসী। দ্বিতীয় স্পেলের ৫ ওভারে মাত্র ১১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট!
এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সামনে এখন আরও একটি বাংলাওয়াশের সুযোগ। পাকিস্তানের পর ভারত—এশিয়ার দুই পরাশক্তিকে পর পর দুটো বাংলাওয়াশ ক্রিকেট বিশ্বে নিশ্চয়ই পৌঁছে দেবে অন্য বার্তা।