৪০০ রানে হারের লজ্জায় ইংলিশরা

‘মিচ’কে সতীর্থদের আদর। ছবি: এএফপি
‘মিচ’কে সতীর্থদের আদর। ছবি: এএফপি

১৯৪৮-এর লর্ডস ফিরে এল আবার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪০০ রানের ব্যবধানে একবারই হেরেছিল ইংলিশরা, লর্ডসে। ৬৭ বছর পর নিজেদের ক্রিকেট তীর্থে আবারও বিশাল এক পরাজয়। সেই পরাজয় ৪০৯ রানের ব্যবধানে। এবার ৪০৫ রানে। দারুণভাবে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।
আরও কিছু লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল স্বাগতিকেরা। এত দীর্ঘ ইতিহাসে লর্ডসে ১০০-এর নিচে মাত্র চারবার অলআউট হয়েছে তারা। গত ২০ বছরে একবারও হয়নি। গত ১২৭ বছরে মাত্র দুবার এমন লজ্জায় পড়া ইংল্যান্ড আজ আরও একবার দুই অঙ্কের মধ্যে বাক্সপেটরা গোটাতে বসেছিল। মাত্র ৬৪ রানে হারিয়ে ফেলেছিল​ ৭ উইকেট। রীতিমতো থরহরিকম্প! শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে অলআউট।
এর আগে ২ উইকেটে ২৫৪ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫০৯ রান। মরীচিকার পিছে ছুটে কী লাভ? চার দিনেই খেল খতম। এই ম্যাচ থেকে দর্শকদের একটা জিনিসই উপহার দিয়েছে ইংল্যান্ড—এক দিনের ম্যাচ টিকিটের ‘রি-ফান্ড’!
২৭ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন, এর পর প্রথম ইনিংস ৮৭ করা বেন স্টোকসকে রানের খাতা খোলার আগেই রান আউটের খাঁড়ায় ফেরানো। ইংলিশদের আসল সর্বনাশ করেছেন ‘চেনা শত্রু’ মিচেল জনসন। দুটো করে উইকেট হ্যাজেলউড আর নাথান লায়নের। ইংল্যান্ড যে ১০০-এর আগেই অলআউট হয়নি, এর জন্য ধন্যবাদ তারা দিতে পারে স্টুয়ার্ট ব্রডকে। নয়ে নেমে ১৭ বলে ২৫ করেছেন। ব্রডের ব্যাটেই এসেছে ইনিংস সর্বোচ্চ রান।
রানের দিক দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের নবম বৃহত্তম জয় দিয়ে প্রথম ম্যাচের বদলা নি​ল অস্ট্রেলিয়া। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এটি ইংলিশদের তৃতীয় বৃহত্তম পরাজয়, এই তিন হারের দুটোই লর্ডসে। ১০৩ লর্ডসে ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। রানের দিক দিয়ে ১৮টি বৃহত্তম পরাজয়ের ১০টিই ইংল্যান্ডের। বলতেই হবে, ইংল্যান্ড বড় রানে হারতেই ‘ভালোবাসে’!