মুস্তাফিজে মুগ্ধ গাভাস্কার

আবির্ভাবেই অনেককে মুগ্ধ করেছেন মুস্তাফিজ। ফাইল ছবি
আবির্ভাবেই অনেককে মুগ্ধ করেছেন মুস্তাফিজ। ফাইল ছবি

তাঁর ক্যারিয়ারে সে রকম কোনো বাঁ হাতি পেসারকে খেলতে হয়নি। বাঁ হাতি পেস বোলিংটাকে শিল্পের পর্যায়ে ওয়াসিম আকরাম তখন তরুণ এক বোলার। আকরামের বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেললেও একবারও তাঁর বোলিংয়ে আউট হননি। ১৯৮৭ সালের সেই ভারত-পাকিস্তান সিরিজই ছিল সুনীল গাভাস্কারের বিদায়ী​ সিরিজ।
সেই গাভাস্কার রীতিমতো মুগ্ধ মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে। বাংলাদেশ একটা রত্ন পেয়েছে বলে মনে করেন ‘লিটল মাস্টার’। তাঁর পরামর্শ, এই রত্নটাকে আরও ঘষেমেজে তৈরি করতে হবে। পরিচর্যা করতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিত্য-নতুন গবেষণা আর পরীক্ষার কাটাছেঁড়াকে ব্যর্থ প্রমাণ করে দিতে হবে।
গাভাস্কার তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই ওর মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে একটা খেলোয়াড় যখন নতুন আসে, তাকে সেভাবে প্রতিপক্ষ চেনে না। তার শক্তি আর দুর্বলতা খুঁজে বের করতে প্রতিপক্ষের সময় লাগে। কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুম থেকে প্রতিপক্ষের কোচ আর অধিনায়কেরা ওকে নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া করে। কীভাবে ওকে অকার্যকর করে রাখা যায় সেই উপায় বের করতে চায়। কখনো কখনো এটা কাজেও লাগে। আশা করি সেই পরীক্ষায় উতরে যেতে মুস্তাফিজুর প্রাপ্য সহযোগিতা পাবে, যেন সে কঠিন সময়েও মানসিকভাবে শক্ত থাকে, দেশের হয়ে উইকেট নেয়।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৬ ওয়ানডেতে মাত্র ১২.৬১ গড়ে ১৮ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ২৮ গড়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এখনো টেস্ট খেলা হয়নি। আগামীকাল টেস্টেও অভিষেক হয়ে যেতে পারে তাঁর।