মুশফিকের প্রশংসায় ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ

মুশফিকের প্রশংসায় ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ। ফাইল ছবি
মুশফিকের প্রশংসায় ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ। ফাইল ছবি

এমনিতে চাঁছাছোলা মন্তব্য আর বিশ্লেষণে প্রতিপক্ষকে তো বটেই, নিজের দলকেও ‘ধুয়ে’ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বরাবরই এক ধাপ এগিয়ে। ব্রিটেনের অন্যতম প্রভাবশালী ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশও রেহাই পায়নি সমালোচনার চাবুক থেকে। তবে দিন বদলেছে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ইতিবাচকভাবেই তুলে ধরা হচ্ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে।
টেস্ট অধিনায়কদের একটি র‍্যাঙ্কিং করেছে টেলিগ্রাফ। আমলা-ক্লার্ক-কুকদের ছাড়িয়ে সেখানে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অবস্থান চারে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। দুইয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, তিনে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, চারে মুশফিক। এমনকি সদ্য অ্যাশেজ জেতা ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক রয়েছেন মুশফিকের পরে, পাঁচে। প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা ছয়ে, সাতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আটে মাইকেল ক্লার্ক, নয়ে ক্যারিবীয় টেস্ট অধিনায়ক দিনেশ রামদিন।
মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও পরিসংখ্যান বলছে, টেস্টে বাংলাদেশের তিনিই সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। ২০১১ এর অক্টোবর-এ অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৪ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪ ম্যাচে, হার ১১ আর ড্র ৯টিতে। সাফল্যের হার ১৬.৬৬ শতাংশ। তার পরে থাকা হাবিবুল বাশারের সেখানে ৫.৫৫ শতাংশ।

মুশফিকের ভূয়সী প্রশংসা করে টেলিগ্রাফ লিখেছে, ‘আগে মাঠে নামার আগেই হেরে বসত বাংলাদেশ। তবে লড়াকু উইকেটরক্ষক মুশফিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন নামে জিততে নতুবা অন্তত লড়াই করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুত সময়ে নিজেদের সেরা করে তুলেছে। ঘরের মাঠে তাদের হারানো কঠিন। নিজেদের মাটিতে সর্বশেষ ১২ ম্যাচের মাত্র দুটিতে হেরেছে। এবার তাদের ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ কে? অস্ট্রেলিয়া।’