ভারতের বিপক্ষে দারুণ জয় যুবাদের

বিকেল পাঁচটার আগেই প্রায় ভরে উঠেছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই গত বছর উপচে পড়া দর্শকের প্রত্যাশার চাপ নিতে পারেনি বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সে ম্যাচে হেরে গিয়েছিল দ্বিতীয় জাতীয় দল। কিন্তু আজ সিলেটের ২৫ হাজার দর্শকের উল্লাসধ্বনি শক্তিতে পরিণত করে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। আগাগোড়া দারুণ খেলেই ভারতীয় যুবাদের ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।

ষোলো বছর বয়সী ফুটবলারদের চোখধাঁধানো নৈপুণ্য শুরু থেকেই ছিল দারুণ উপভোগ্য। আক্রমণভাগের সারোয়ার জামান নিপু, ইমন, আতিকুজ্জামানরা ছিল অপ্রতিরোধ্য। পায়ের চমৎকার কারুকাজ আর ব্যক্তিগত ক্যারিশমায় ভারতীয় রক্ষণকে বারবার বিপাকে ফেললেও গোলটাই কেবল আদায় করা যাচ্ছিল না। খেলার ৩৪ মিনিটে গোলের জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় থাকা দর্শকদের আনন্দে ভাসায় অধিনায়ক শাওন হোসেন। বক্সের ভেতর বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ প্লেসিং শটে বল জালে ফেলে শাওন। প্রথমার্ধের বাকি সময়টায় ভারতীয় সীমানায় আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি গোলাম জিলানির শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচের ধারার বিরুদ্ধেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। একটি ভুল ব্যাক পাসের মাশুল দেয় বাংলাদেশের যুবারা। গোলরক্ষক ফয়সল আহমেদও পরিস্থিতিটা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। পোস্ট একটু দেরিতেই বেরিয়ে এসেছিল তিনি। সেই সুযোগে লক্ষ্যভেদ করে ভারতের রহিম আলী।
১-১ সমতাতেও উদ্যম হারায়নি বাংলাদেশ। তবে ফরোয়ার্ডদের খামখেয়ালিপনায় গোলের সংখ্যা আর বাড়াতে পারেনি। গোল না হওয়ার হতাশাজনক এক সময়েই ভারতীয় রক্ষণভাগের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। স্পট কিকটি দারুণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগায় আতিক। ম্যাচের বাকি সময়টা ভারতকে চেপেই রেখেছিল বাংলাদেশ। আক্রমণের চাপে এই সময় ভারতও গোল শোধের মোক্ষম কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলবে ভারতও। আগস্টের ১৬ তারিখে প্রথম আর ১৭ তারিখে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। প্রতিযোগিতার ফাইনাল ১৮ আগস্ট।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: ফয়সল আহমেদ (গোলরক্ষক), শাওন হোসেন (অধিনায়ক), ফাহিম মোর্শেদ, সরওয়ার জামান নিপু, মোহাম্মদ শাওন, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম সজিব, খলিল ভুঁইয়া, মোস্তাজিব খান, ইমন খান।