ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ম্যাচ হচ্ছে না!

প্রীতি ম্যাচ
প্রীতি ম্যাচ

আগামী রোববার ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ। ভেন্যু হলো মারাকানা স্টেডিয়াম। এই ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে নতুন সাজে সজ্জিত মারাকানার। এরই মধ্যে ব্রাজিলে পৌঁছেও গেছে ইংল্যান্ড ফুটবল দল। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে দেখা দিয়েছে বিপত্তি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, মারাকানা স্টেডিয়াম এখনো পুরো নিরাপদ নয়—এ কারণ দিয়ে সেখানে ম্যাচ আয়োজনের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ব্রাজিলের একটি আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ম্যাচের ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় জেগেছে।
এদিকে রিও ডি জেনিরো রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মারাকানা স্টেডিয়ামে কোনো ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকি নেই। নিম্ন আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। সরকারের আশা, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার সপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করার পর আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবেন। আর ব্রাজিল ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচটি নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কয়েকবারই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল ব্রাজিল ও ফিফা। স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কাজের ধীরগতি ইত্যাদি নিয়ে ফিফার কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আয়োজকদের। তবে কিছুটা দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত পরবর্তী বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান ভেন্যু মারাকানা স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করতে পেরেছে ব্রাজিল। আয়োজকদের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই স্টেডিয়ামে।

রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামকে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলীয় ফুটবলের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে। এই স্টেডিয়ামেই ১০০০তম গোল করে ইতিহাস গড়েছিলেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলে। গারিঞ্চা, জিকো, রোমারিওর মতো কিংবদন্তি ফুটবলারের চারণভূমি ছিল এই মারাকানা স্টেডিয়াম। এখানেই ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। ১৯৯২ সালে ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এতে তিনজন নিহত ও অর্ধশতাধিক দর্শক আহত হয়। এর পর থেকে দফায় দফায় সংস্কারকাজ চলে মারাকানা স্টেডিয়ামের।

২০১০ সালে নতুনভাবে শুরু হয় মারাকানা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ। নবরূপে সজ্জিত এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ব্রাজিল সরকার। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মারাকানা স্টেডিয়াম। নতুনভাবে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৭৯ হাজার।