অনুশীলন ম্যাচে ছোটরাই উজ্জ্বল

সাইফুল বারীকে ম্যাচের পর ফাবিও লোপেজ বললেন, ‘তোমার টিম খুব ভালো খেলেছে।’
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ এই স্বীকৃতিটা আদায়ই করে নিলেন জাতীয় দলের কোচের কাছ থেকে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল অনুশীলন ম্যাচে জাতীয় দলের কাছে যুব দল এক গোলে হারলেও তাদের উপস্থিতিই ছিল উজ্জ্বল। দুই কোচের কণ্ঠে অভিন্ন সুরে শোনা গেল ছোটদের প্রশংসা।
জাতীয় দল নিয়ে ঠিক হতাশা ছিল না, তবে মামুনুলদের পারফরম্যান্স জাতীয় দলের মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। বড় ব্যবধানটা আসলে গড়ে দিয়েছে ফিটনেস। বৃষ্টিভেজা কাদামাঠে জাতীয় তারকারা ফিটনেসের অভাবে ছিলেন গতিহীন, অনেকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে ফেলেছেন। ভারী শরীর নিয়ে ঠিকমতো দৌড়াতে পারলেন না। অন্যদিকে যুবারা যেন টগবগে ঘোড়া।
লোপেজের চোখেও তা ধরা পড়েছে। ক্যাম্পে থাকা ৩৫ খেলোয়াড়ের সবাইকেই মাঠে নামিয়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘খেলোয়াড়দের ফিটনেস এখনো অনেক নিচে।’ তাঁর চোখে পেশাদার খেলোয়াড়দের ফিটনেস সমস্যার কারণ, ‘ওরা ক্লান্ত।’ ২২ আগস্ট লিগ শেষে এক মাস পার হলেও ক্লান্তি না কাটা বিস্ময়কর বটে। অবশ্য কোচের দাবি, ‘ফিটনেস নিয়ে কাজ হলে দুই মাস পর দেখবেন এই খেলোয়াড়েরাই উড়ছে।’ জাতীয় দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে হতাশ না হলেও খুশিও লাগেনি লোপেজকে, ‘এই দল নিয়ে আরও অনেক কাজ করার আছে।’
লোপেজের মতো সাইফুলের চোখেও ধরা পড়েছে জাতীয় দলের ফিটনেস-ঘাটতি, ‘জাতীয় দলে ফিটনেস নিয়ে তেমন কাজ হয়নি। এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’ যুব দলেও কাজ করার অনেক কিছুই দেখছেন সাইফুল। তবে নেপালে সাফ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলে আসার পর অনুশীলনে থাকায় কিছুটা উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন, ‘নেপাল থেকে ফিরে যে কদিন সময় পেলাম, তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ দল উন্নতি করেছে। কিছুটা সন্তুষ্ট আমি। তবে আরও কাজ করতে হবে।’
২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে খেলবে যুব দল। ঘরের মাঠে নামার আগে জাতীয় দলের সঙ্গে ম্যাচটাকে বেছে নিয়েছিল যুব দল। যে ম্যাচে যুবারা দু-দুবার বলও জড়িয়েছে জাতীয় দলের পোস্টে। কিন্তু আগেই বেজে গেছে অফসাইডের বাঁশি! তারা ৬৫ মিনিটে একমাত্র গোলটি খেয়েছে ফয়সাল মাহমুদের কর্নারে শাহেদের শট বল জড়িয়ে যাওয়ায়।
অনুশীলনে ম্যাচে যুবাদের সঙ্গে হয়তো মান রক্ষা এতে হলো। তবে একটা বার্তা ঠিকই পেলেন নতুন কোচ। কাল ম্যাচ খেলেই খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছেন, ঈদ কাটিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেএসপিতে শুরু ক্যাম্পে আদাজল খেয়ে নামবেন বলে মনে হচ্ছে। প্রাথমিক দলের সব খেলোয়াড়ই থাকবেন ঈদ-পরবর্তী অনুশীলনে। কাঁচি চালানোর আগে লোপেজ আরেকটু দেখতে চান ফিটনেসে পিছিয়ে থাকা দলটাকে।