এনামুলের ব্যাটে ঝোড়ো হাওয়া

ইনিংসজুড়েই এমন আক্রমণাত্মক ছিলেন এনামুল হক। নইলে কি আর ৮৭ বলে ৮৯ হয়! l ছবি: বিসিবির সৌজন্যে
ইনিংসজুড়েই এমন আক্রমণাত্মক ছিলেন এনামুল হক। নইলে কি আর ৮৭ বলে ৮৯ হয়! l ছবি: বিসিবির সৌজন্যে

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের হয়ে আর মাঠে নামা হয়নি। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজে স্কোয়াডেই ছিলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা মেলেনি। এনামুল হকের জন্য ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরের তাই আলাদা একটা তাৎপর্য ছিল। ভালো করলে জোরালো হবে একাদশে ফেরার দাবি। অথচ ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে এক দিনের ম্যাচের সিরিজের পারফরম্যান্স উল্টো হতাশায় ডুবিয়ে দেওয়ার মতো। টানা ব্যর্থতায় তিন ম্যাচ মিলে রান ৩৫!
কর্ণাটকের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ। মাত্র ৫ রান করে সফরে চার ইনিংসে মোট রান হলো ৪০। একের পর এক ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বোধ হয় একটা প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছিলেন—চালিয়ে খেলব, যা হওয়ার হবে। যা হলো, তাতে সেঞ্চুরিই হয়ে গিয়েছিল প্রায়। মাত্র ১১ রানের জন্য তা হয়নি।
৬ উইকেটে ১৬৩ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল কর্ণাটক। কাল যোগ করেছে আরও ১২৪ রান। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানে পিছিয়ে থাকার পরও বাংলাদেশ ‘এ’ দল যে দিন শেষে ৫৯ রানের লিড নিতে পারল, সেটির মূলে এনামুল। ওয়ানডেতেও যাঁর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করার অক্ষমতা তুমুল আলোচিত, তিনিই কি না তিন দিনের ম্যাচে করলেন ৮৭ বলে ৮৯ রান! যাতে ৮টি চারের সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কাও।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের উদ্বোধনী জুটি কালও জমেনি। দলের ৩০ রানে ফিরে আসেন রনি তালুকদার। খুব বড় কোনো জুটি হয়নি এর পরও। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক মুমিনুল ও লিটনের সঙ্গে এনামুলের ৬৯ ও ৪৩ রানের জুটি দুটিই যা একটু বলার মতো। দলকে ১৪২ রানে রেখে এনামুলের বিদায়ের পর লিটন ও সৌম্যের চতুর্থ উইকেট জুটি দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন ছিল ৪৬ রানে। আজ শেষ দিন সকালে তাদের জুটিটা আর কত দূর যেতে পারে, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে ম্যাচের ফল। বাংলাদেশ ‘এ’র লক্ষ্য যদিও ম্যাচ ড্র করা, কর্ণাটক নিশ্চয়ই একটা মরিয়া চেষ্টা চালাবে জেতার।
আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ভাবানে (৮৮) ও সুচিথের (৪১) ১২৭ রানের সপ্তম উইকেট জুটিটাই প্রথম ইনিংসে কর্ণাটককে বড় লিড এনে দিয়েছে। এঁরা দুজন বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও আরও ৬০ রান যোগ হয়েছে স্কোরে। আগের দিন ৩টি করে উইকেট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার শুভাগত ও সাকলাইন। কাল আরও একটি করে উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষেও তাঁরা সমতায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ: ১৫৮ ও ৪৪ ওভারে ১৮৮/৩ (এনামুল ৮৯, রনি ১৫, মুমিনুল ২২, লিটন ৩৭*, সৌম্য ২৪*; শরৎ ০/২৯, কৃষ্ণা ০/২৮, সুচিথ ১/৪৫, গোপাল ০/৩৯, প্যাটেল ২/৪৪, সামার্থ ০/২)। কর্ণাটক ১ম ইনিংস: ৯২.৩ ওভারে ২৮৭ (সামার্থ ২৫, আগরওয়াল ১৬, রেড্ডি ২৮, উথাপ্পা ১, গৌতম ৩, গোপাল ১৭, ভাবানে ৮৮, সুচিথ ৪১, প্যাটেল ৪০, শরৎ ১২, কৃষ্ণা ৪*; আল-আমিন ১/৪৭, কামরুল ০/৪৯, সাকলাইন ৪/৮৫, শুভাগত ৪/৪৫, জুবায়ের ১/৪৪, নাসির ০/৬)।