আজমলের দাম ৩৯ লাখ টাকা, সাকিবের ৩৫!

খুলনা টেস্টে মুখোমুখি, এবার তাঁরাই পাশাপাশি!
খুলনা টেস্টে মুখোমুখি, এবার তাঁরাই পাশাপাশি!

আগেই জানা গিয়েছিল, এবার দেশি ক্রিকেটারদের দাম বিদেশিদের চেয়ে অনেক কমই হবে! বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়ে রেখেছিল, বিপিএলে আইকন খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব-মাশরাফি-তামিমদের প্রত্যেকের দাম ৩৫ লাখ টাকা। গতকাল প্লেয়ারস ড্রাফট-এর পর দেখা গেল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশি দাম সাঈদ আজমল-ব্র্যাড হগদের মতো খেলোয়াড়ের!
৪৫ এর দোরগোড়ায় হগ গত বিগ ব্যাশেও তেমন একটা ভালো করেননি। আজ বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পর আজমল তো পাকিস্তানেই হয়ে গেছেন ‘অচল’ পয়সা।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা ‘এ’ গ্রেডে আছেন, তাঁদের দাম ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫৫ লাখ। ‘এ’ গ্রেড থেকে বিক্রি হওয়া ওয়াহাব রিয়াজ গেছেন সাকিবের দল রংপুরেই। যে রিয়াজের সঙ্গে গত সিরিজে বেশ ঠোকাঠুকি হয়েছিল সাকিবের। রংপুরের সম্ভাব্য অধিনায়ক সাকিবের চেয়ে তাঁর দলের রিয়াজ কিন্তু পাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা বেশি!
‘বি’ গ্রেডের দাম ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে ছয় আইকন সাকিব, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন ও মাহমুদউল্লাহরা পাচ্ছেন ‘বি’ গ্রেডে থাকা বিদেশি খেলোয়াড়দের চেয়ে কম। এই গ্রেডে রয়েছেন আজমল-জর্ডানরা ছাড়াও আছেন ব্র্যাড হগ। আজমল-জর্ডান-হগদের চেয়ে কম দাম পাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব, অবাক হওয়ার মতোই। কুলাসেকেরাও অনেক দিন ধরে নিয়মিত নন শ্রীলঙ্কা দলে। অথচ এদের চেয়ে কম দাম পাবেন সাকিব!

বিশ্বের যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বাঁহাতি অলরাউন্ডার বড় কাঙ্ক্ষিত নাম। ২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) সাকিবকে কিনেছিল বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। ২০১৪ সালে ২০ লাখ বেড়ে সাকিবের দাম হয় সাড়ে তিন কোটি। সেবার তাঁকে কিনতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছিল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস আর কেকেআর। শেষ পর্যন্ত আগের চেয়ে বেশি দাম গুণে সাকিবকে ধরে রাখে কেকেআর।
সর্বশেষ আইপিএলে তাঁকে নিলামেই উঠতে হয়নি। গত ডিসেম্বরে সাকিবের চুক্তি বর্ধিত করে নেয় কেকেআর। প্রশ্ন তাই থেকে যাচ্ছে, বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব কি আদৌ যথার্থ দাম পেলেন?
বিষয়টি মানছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলও। তাদের যুক্তি, টুর্নামেন্টটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই এটা করতে হয়েছে। সাকিব-তামিমদের যে আরও বেশি টাকা প্রাপ্য সেটি স্বীকার করে নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘সাকিব ৩৫ লাখ টাকার ক্রিকেটার নন। কিংবা তামিম-মুশফিকের আরও বেশি পাওয়ার কথা। আমাদের আইকন ক্রিকেটারদের মান অবশ্যই বিদেশিদের চেয়ে কম নয়। কিন্তু আমরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। টুর্নামেন্টের টিকে থাকার স্বার্থে এটা দরকার আছে।’