মারের জয় ইভানোভিচের হার

স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নাইজেল সিয়ার্সকে। কোর্টে তখন উদ্বিগ্ন ইভানোভিচ l মেইল অনলাইন
স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নাইজেল সিয়ার্সকে। কোর্টে তখন উদ্বিগ্ন ইভানোভিচ l মেইল অনলাইন

জিতলেন অ্যান্ডি মারে। হেরে গেলেন আনা ইভানোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষ ও মহিলা দুই বিভাগে এই দুই খেলোয়াড়ের জয়-পরাজয়কে একসূত্রে গাঁথা যায় না। কিন্তু কাল গেঁথে দিলেন নাইজেল সিয়ার্স; ইভানোভিচের কোচ, আর মারের স্ত্রী কিম সিয়ার্সের বাবা।
কোর্টে তখন তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল সার্বিয়ার ইভানোভিচ ও আমেরিকার ম্যাডিসন কেইসের। ৬-৪, ১-০ গেমে যখন এগিয়ে ইভানোভিচ, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সিয়ার্স। স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হলো বাইরে। পরে নেওয়া হলো হাসপাতালে। টিভি ক্লোজআপে দেখাল ইভানোভিচকে। রাজ্যের হতাশা তাঁর চোখেমুখে। স্থগিত হয়ে গেল ম্যাচ। ঘণ্টা খানেক বিরতি দিয়ে যখন শুরু হলো খেলা, এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠলেন না ২০০৮ সালে মেলবোর্ন পার্কে ফাইনাল খেলা ইভানোভিচ। হেরে গেলেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪ গেমে।
উদ্বিগ্ন দর্শকদের অবশ্য আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নাইজেল সিয়ার্স সুস্থ আছেন, তাঁর গুরুতর কিছু হয়নি। কিন্তু যা হওয়ার হয়ে গেছে ইভানোভিচের, তৃতীয় রাউন্ডেই ছিটকে পড়তে হলো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে। ম্যাচ শুরুর ৩০ মিনিট আগে থেকেই নাকি ‘অসুস্থ বোধ’ করার কথা জানিয়েছিলেন কোচ সিয়ার্স।
রড লেভার অ্যারেনায় তখন খেলছিলেন অ্যান্ডি মারেও। কিন্তু শ্বশুরের অসুস্থতার খবর তিনি জানতে পারেননি। তবে সেখানেও চাউর হয়ে গিয়েছিল—কে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কোর্টে প্রতিপক্ষ ছিলেন পর্তুগালের জোয়াও সুজা। মারে তাঁকে হারিয়েছেন ৬-২, ৩-৬, ৬-২, ৬-২ গেমে।
মারের জয়ের দিনে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কা। চেক প্রজাতন্ত্রের লুকাস রোজোলকে হারিয়ে পেয়েছেন এটিপি সার্কিটের ৪০০তম জয়। পুরুষ বিভাগে এদিন জিতেছেন ফ্রান্সের গায়েল মনফিলস, স্পেনের ডেভিড ফেরার, অস্ট্রেলিয়ার টমাস বার্ডিচ, যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনার ও কানাডার মিলোস রাওনিচ। মহিলা বিভাগে সাবেক নম্বর ওয়ান বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কেরবার ও চীনের ঝ্যাং সুয়াই জিতেছেন তৃতীয় রাউন্ডে। এএফপি।