শুরুর ধাক্কা সামলে সেমিফাইনালে বার্সা

নেইমার-সুয়ারেজের গোল বার্সাকে পৌঁছে দিল শেষ চারে। ছবি: এএফপি
নেইমার-সুয়ারেজের গোল বার্সাকে পৌঁছে দিল শেষ চারে। ছবি: এএফপি

১২ মিনিটে ইনাকি উইলিয়ামসের গোলটা ন্যু ক্যাম্পের একটা অংশকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল নির্ঘাত। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ২-২ সমতা। বার্সেলোনা অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে এগিয়ে আছে বটে, কিন্তু আর একটা গোলেই হয়ে যেতে পারে সর্বনাশ। ম্যাচে তখনো ৮০ মিনিটের মতো বাকি। অ্যাথলেটিক বিলবাও আরেকবার বার্সার জাল খুঁজে পাবে না—গ্যারান্টি আছে? 

এই মৌসুমে অসম্ভবের পেছনে ছুটছে বার্সা। গতবার শিরোপা-ত্রয়ী জিতেছিল, এক বছরে সব মিলিয়ে পাঁচটি ট্রফি। তবুও ক্ষুধা মেটেনি। আবারও শিরোপাত্রয়ীর পুনরাবৃত্তি চায় লুইস এনরিকের দল। কিন্তু শুরুতেও অমন ধাক্কা! ভয়টা থাকল ম্যাচের ৫২ মিনিট পর্যন্ত। অবশেষে ৫৩ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোল প্রায় ছিটকে দিল বিলবাওকে। তাতেও যদি বিলবাও অলীক প্রত্যাবর্তনের আশায় লড়াই করেও থাকে, ৮১ মিনিটে জেরার্ড পিকে শেষ করে দিলেন। যোগ করা সময়ে নেইমারের গোল বার্সাকে ৩-১ গোলের দাপুটে জয়ই এনে দিল। দুই লেগ মি​লিয়ে ৫-২ ব্যবধানে জিতে কোপা ডেল রের সেমিফাইনালে উঠে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
কাল রাতে বার্সার শুধু একটাই খামতি থাকতে পারে, গোলদাতার তালিকায় লিওনেল মেসির নাম না-থাকা। ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কিংবা চোটের কারণে তিন ম্যাচে প্রথমবারের মতো আবারও এমএসএন-ত্রয়ী জুটি বাঁধল। তাতে এস-এন গোল পেলেও ‘এম’-এর নাম উঠল না। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অপেক্ষাটাও একটু বাড়ল! একটা গোল পেলেই মেসি-রোনালদো দুজনের মোট গোল হয়ে যেত ১০০০! গত ম্যাচে রোনালদো গোল করেননি, এবার মেসিও।
সুয়ারেজ এদিকে মৌসুমে নিজের ৩০ নম্বর গোলটি করে যেন বার্তা দিয়ে রাখলেন, আট বছর পর পরের ব্যালন ডি’অরে নতুন মুখের কাছেই হয়তো যাচ্ছে। সুয়ারেজ তাতে বড় দাবিদার তো অবশ্যই। নেইমারও শেষ প্রান্তে মৌসুমে নিজের ২১তম গোলটি করলেন। নামটি মেসি বলেই চোখে লাগছে। না হলে চোটজর্জর এই মৌসুমেও কিন্তু মেসি করেছেন ২০ গোল!
কাল রাতে কোপা ডেল রের সবচেয়ে বড় খবর অবশ্য বার্সার জয় নয়—অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিস্ময়কর পরাজয়। নিজেদের মাঠে অ্যাটলেটিকো ৩-২ গোলে হেরে গেছে সেল্টা ভিগোর কাছে। এই পরাজয়ে ‘কিংস কাপ’ নামে পরিচিত রাজার এই কাপ থেকে রাজধানী মাদ্রিদের দুই পরাশক্তিই বিদায় নিল।
আজ কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি দুই ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে সেভিয়া-মিরান্দেস ও লাস পালমাস-ভ্যালেন্সিয়া। এরপরই জানা যাবে শেষ চারে উঠল বাকি কোন দুটি দল। এরপর ড্রয়ে নির্ধারিত হবে, সেমিতে কে মুখোমুখি হচ্ছে কার।