আশা বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান

শেষ ওভারে পরপর দুটি ছয় মারলেন দওলত জাদরান। নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানের জয়। এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার আশা বেঁচে রইল আফগানদের। জাদরানের উচ্ছল এই হাসির কারণটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল। কাল ফতুল্লায় l এএফপি
শেষ ওভারে পরপর দুটি ছয় মারলেন দওলত জাদরান। নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানের জয়। এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার আশা বেঁচে রইল আফগানদের। জাদরানের উচ্ছল এই হাসির কারণটা নিশ্চয়ই বোঝা গেল। কাল ফতুল্লায় l এএফপি

টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এর আগে ব্যাট হাতে নামার সুযোগই হয়েছিল মাত্র ১০টি ম্যাচে। তাতে সাকল্যে ২৬ রান করতে পেরেছিলেন দওলত জাদরান, সর্বোচ্চ ৯। তাঁর কাঁধেই কিনা পড়ল গুরুদায়িত্বটা! যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, দলের সামনে সমীকরণটা এমন—জিততে হলে ৫ বলে করতে হবে ১০ রান। হারলেই এশিয়া কাপের মূল পর্বের আশা শেষ।
দলের ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন সমীকরণ। কিন্তু জাদরানের সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়নি। মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলেই সব হিসাব-নিকাশ উড়িয়ে দিলেন আফগান পেসার। ওমানের অজয় লালচেতার পর পর দুই বলে ছক্কা মেরে ম্যাচটা জিতিয়ে দিলেন আফগানিস্তানকে। আফগানরা কেন তাঁদের কঠিন মানসিকতার জন্য বিখ্যাত, কাল ফতুল্লায় এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের তৃতীয় ম্যাচে সেটিরই প্রমাণ রাখলেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
অবশ্য শুধু এক জাদরানকে সব কৃতিত্ব দিলে একটু অবিচারই করা হবে। শেষটা টেনেছেন তিনি, কিন্তু আফগানিস্তানের জয়ের ভিত তো গড়ে দিয়েছেন আরেক জাদরান—নুর আলী। ৪৪ বলে ৬৩ রান করেছেন এই ওপেনার। দুই জাদরানের সঙ্গে আসগর স্টানিকজাইয়ের দুই শ স্ট্রাইক রেটে ৩৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই তিন বল বাকি থাকতে ১৬৬ রানের লক্ষ্য পার করতে পেরেছে আফগানিস্তান। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে জিশান মাকসুদ ও আদনান ইলিয়াসের জোড়া ফিফটিতে ১৬৫ রান করেছিল ওমান।
আগের দিন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের পর এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্নে যে ধাক্কা লেগেছিল, এই জয়ে সেটি কিছুটা কাটিয়ে উঠল ইনজামাম-উল-হকের দল। ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই আছে আফগানিস্তান। আজ অবশ্য হংকংয়ের সঙ্গে জিতলে তাদের টপকে যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তথ্যসূত্র: ইএসপিএনক্রিকইনফো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওমান: ২০ ওভারে ১৬৫/৪ (মাকসুদ ৫২, ইলিয়াস ৫৪; গুলবাদিন ২/২৪); আফগানিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১৬৮/৭ (নুর ৬৩, স্টানিকজাই ৩৪, নজিবুল্লাহ ২৩; বিলাল ৩/৩৩, মেহরান ৩/১৮)।
ফল: আফগানিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।