পাকিস্তানকে ভয় দেখাচ্ছে আমিরাত!

ইনিংস শেষে পাকিস্তানের এমন উচ্ছ্বাস মিইয়ে গেছে অনেকটা। ছবি: শামসুল হক
ইনিংস শেষে পাকিস্তানের এমন উচ্ছ্বাস মিইয়ে গেছে অনেকটা। ছবি: শামসুল হক

শহীদ আফ্রিদিকে সুইপ করে চার মারলেন শাইমান আনোয়ার। বেশ নজরদারি শট, দেখে হতাশা মাখা মুখে মাথা নাড়ছেন আফ্রিদি। মাথা নাড়ানোরই কথা, শাইমান যে আগের দুই বলেই তাঁর বলকে সীমানাছাড়া করেছেন। মিরপুরে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংস শেষেও মাথা নাড়তে নাড়তেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অধিনায়ক আফ্রিদিকে। শাইমানের ব্যাটে চড়ে পাকিস্তানকে ১৩০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে আমিরাত।
টসে জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমিরাত অধিনায়ক আমজাদ জাভেদ। চলতি এশিয়া কাপে এখন এটাই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে—মিরপুরের উইকেটে পরে ব্যাট করে জেতাটা বেশ কঠিন। একমাত্র ব্যতিক্রম পাকিস্তান, তারাই শুধু আগে ব্যাট করে হেরেছিল। দেখা যাক, আজও ব্যতিক্রম হয়ে থাকতে পারে কি না তারা।
আমিরাতের ইনিংসের শুরু দেখে অবশ্য পরিসংখ্যান নিয়েই ঘাটা ঘটি শুরু করে দিতে হয়েছিল। চার ওভার না যেতেই ১২ রানে নেই ৩ উইকেট। বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছিলেন আমির, ইরফান ও সামিরা। ‘ছোট ভাই’দের হাতের নাগালে পেয়ে টি-টোয়েন্টির সর্বনিম্ন ইনিংসের লজ্জা না উপহার দেয় পাকিস্তান, জেগেছিল সে শঙ্কাও। মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে প্রথমে সে লজ্জা এড়ালেন শাইমান। ১১তম ওভারের শেষ বলে শাহজাদও যখন ফিরে গেলেন, তখনো বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল ৭৩ সংখ্যাটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আমিরাতের সর্বনিম্ন স্কোর যে এটিই।
কিন্তু আমিরাতের সে ভয় ঝেঁটিয়ে বিদায় করলেন শাইমানই। অভিষিক্ত মোহাম্মদ নওয়াজকে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার দিয়ে শুরু। তার পরের ওভারেই আফ্রিদিকে মারা সেই তিন চার। শাইমানের এই ঝড়ের পূর্বাভাসটি অবশ্য থেমে গেল পরের ওভারেই। মোহাম্মদ ইরফানের বলে ৪২ বলে ৪৬ করা শাইমান দলীয় ৭২ রানে ফিরে গেলেও প্রয়োজনীয় আত্মবিশাসটা ঠিকই দিয়ে গেলেন পরের ব্যাটসম্যানদের।
মোহাম্মদ উসমান (২১) ও অধিনায়ক জাভেদের (২৭*) ৩২ বলে ৪৬ রানের জুটিতে নতুন ক্রিকেটারদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু ছিল না। অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিং ও আর পাওয়ার হিটিং মিলিয়ে তোলা এই রানেই আমিরাত পেল লড়াই করার পুঁজি। মোহাম্মদ আমিরের ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট পাওয়াটা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনাটাও তাই ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না।