জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পারল না স্কটল্যান্ড

.
.

সাইড বেঞ্চে বসে চুল ছিঁড়ছেন রিচি ব্যারিংটন। হয়তো মনস্তাপ করছেন, ‘কী করলাম আমি!’ ব্যারিংটন যতক্ষণ ছিলেন আশা ছিল স্কটল্যান্ডের। ১৮ ওভারের শেষ বলে যখন টেন্ডাই চাতারার বলে আউট হলেন তিনি, তার আগে স্কটিশদের দরকার ছিল ১৩ বলে ২৪ রান। সমীকরণটা অসম্ভব ছিল না। সেটি সম্ভবও করতে পারল না স্কটল্যান্ড। নাগপুরে জিম্বাবুয়ের কাছে তারা ১১ রানে হেরে গেছে।


১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডের। ৮ ওভারে তাদের রান ৫ উইকেটে ৪৩ রান। এরপরই বদলাতে থাকে ম্যাচের রং। অধিনায়ক প্রেসটন মমসেন-ব্যারিংটনের ষষ্ঠ উইকেট জুটির ৩৯ বলে ৫১ রান স্কটিশদের আশা দেখাতে শুরু করে। ৩১ রানে মমসেন আউট হলেও আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন ব্যারিংটন। কিন্তু তিনি ৩৬ রানে আউট হলে সেটি প্রায় নিবু নিবু হয়ে যায়। শেষমেশ ১৯.৪ ওভারে স্কটল্যান্ড ১৩৬ রানে অলআউট হলে নিশ্চিত হয় বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের টানা দুই জয়।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে শন উইলিয়ামসের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৭ উইকেটে ১৪৭। যদিও তাদের শুরুটা বলার মতো হয়নি। দুই ওপেনার ভুসি সিবান্দা-হ্যামিল্টনের অদ্ভুত রানআউটে মাত্র ১৭ রানেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। তবে শেষ পর্যন্ত তারা চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে উইলিয়ামসের ৫৩ রানের কারণেই। তবে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

দুই ম্যাচে দুই জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে এক পা দিয়ে রেখেছেন ডেভ হোয়াটমোরের শিষ্যরা। প্রথম পর্বে জিম্বাবুয়ের শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানের সঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে আফগানদের অবশ্য জিম্বাবুয়ের রেকর্ডটা বলার মতো নয়।