এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়!

জয় এনে দেওয়ার পর সতীর্থদের উদ্‌যাপনের মধ্যমণি ইংলিশ মিডফিল্ডার এরিক ডায়ার। ছবি: এএফপি
জয় এনে দেওয়ার পর সতীর্থদের উদ্‌যাপনের মধ্যমণি ইংলিশ মিডফিল্ডার এরিক ডায়ার। ছবি: এএফপি

৬০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে। প্রতিপক্ষ তো শুধু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি নয়, বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টাডিওনের হাজার হাজার দর্শকের প্রকম্পিত স্লোগানও। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতল ৩-২ গোলে! কোচ রয় হজসন যাকে বলছেন তাঁর অধীনে ইংলিশদের সেরা ম্যাচ।
তা তো তিনি বলবেন-ই। ফুটবল মাঠে শেষ কবে ইংল্যান্ড এমন ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেই প্রশ্ন তো আছেই, এক ম্যাচে এমন দুর্দান্ত সব গোল ইংল্যান্ড সবশেষ কবে করেছে, এমন প্রশ্নও ঘুরে ফিরছে আকাশে-বাতাসে। ৬১ মিনিটে হ্যারি কেনের গোলটার কথাই ধরুন। কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন বক্সের ভেতর। দারুণ একটা টার্ন নিয়ে মনে করিয়ে দিলেন সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফকে। এরপর একজনকে কাটিয়ে ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দিলেন জালে।
তার চেয়েও বেশি মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ৭৪ মিনিটে জেমি ভার্ডির গোল। নাথানিয়েল ক্লাইনের ক্রসটা ধরতে পারারই কথা ছিল না লেস্টার সিটি স্ট্রাইকারের। কিন্তু ডান পায়ের দুর্দান্ত এক ব্যাকফ্লিকে বলটা পাঠিয়ে দিলেন জালে। হতভম্ব জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
ইংল্যান্ডের জয়টা নিশ্চিত হয় খেলার একদম অন্তিম মুহূর্তে। কর্নার থেকে টটেনহামের এরিক ডায়ারের হেডটাই বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেয়।
এই ম্যাচের ম্যাচের প্রথম ৬০ মিনিট কিন্তু পুরোপুরিই ছিল জার্মানির। ৪৩ মিনিটে টনি ক্রুসের দূর থেকে বাঁ পায়ের শটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। এই গোলের জন্য ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জ্যাক বাটল্যান্ড নিজেকে দুষতেই পারেন, কাছের পোস্টেই বলটা আটকাতে পারেননি। ৫৭ মিনিটে মারিও গোমেজের গোল, উৎস স্যামি খেদিরার ক্রস। গোমেজ অবশ্য হয়তো নিজেকে দুর্ভাগা দাবি করবেন, প্রথমার্ধে তাঁর আরেকটা গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে গেছে। যদিও রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে ওটা অফসাইড ছিল না। কে জানত, এই গোলটার জন্য পরে হাপিত্যেশ করতে হবে? জার্মান কোচ জোয়াকিম লো তো বলেই ফেলেছেন, ‘দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর এভাবে হেরে যাওয়া খুবই লজ্জাজনক। তবে এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমরা খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি।’