'সব সময় ফুটবলারই হতে চেয়েছি'

রিকার্ডো কাজিনস
রিকার্ডো কাজিনস

বিপিএল (বাংলাদেশ টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ) মাতিয়ে গেছেন ক্রিস গেইল। এবার বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলতে এসেছেন আরেক জ্যামাইকান রিকার্ডো কাজিনস। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ২৬ বছর বয়সী ক্যারিবিয়ান ফরোয়ার্ড বাংলাদেশে এসে খুবই উচ্ছ্বসিত

 কোর্টনি ওয়ালশ, ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলসদের দেশের লোক আপনি। কখনো এই ক্রিকেটারদের কারও সঙ্গে কথা হয়েছে?
রিকার্ডো কাজিনস: জ্যামাইকা খুব ছোট একটা দেশ। এখানে বলতে গেলে সবাই সবাইকে চেনে। আর কেউ যদি ফুটবলার, ক্রিকেটার বা অ্যাথলেট হয় তাহলে তো কথাই নেই। এদের অনেকের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। গেইলের সঙ্গে অনেকবার দেখাও হয়েছে। প্রায়ই ওর সঙ্গে কথা বলি।

 গেইল বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন জানেন?
কাজিনস: বাংলাদেশে গেইল ব্যাপক জনপ্রিয়, সেটা আমি ভালোই জানি। এখানে টি-টোয়েন্টি খেলে গেছে সে। গেইল ছাড়াও বিপিএলে (খুলনা দলে) খেলেছে বাঁহাতি পেসার ক্রিশমার সানতোকি। ঢাকায় আসার আগে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। ওর কাছ থেকেই এই দেশ সম্পর্কে একটা ধারণা নিই আমি।

 বিখ্যাত গায়ক বব মার্লেও তো জ্যামাইকান...

কাজিনস: মার্লের বাড়ি আমাদের শহর থেকে ৩০-৩৫ মাইল দূরে। আমি মার্লের গানের খুব ভক্ত। অনেকবার মার্লের মিউজিয়ামে গিয়েছি।

 আমরা যেমনটা জানি, জনপ্রিয়তায় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড জ্যামাইকায় এক নম্বরে। আপনার কখনো অ্যাথলেট হতে ইচ্ছে করেনি?
কাজিনস: না। আমি সব সময় ফুটবলারই হতে চেয়েছি।

 জ্যামাইকা নামে দেশটির কথা উঠলে অবধারিতভাবে উসাইন বোল্টের প্রসঙ্গ এসে পড়ে। বোল্ট সম্পর্কে কিছু বলুন।
কাজিনস: বোল্ট আমার খুব ভালো বন্ধু। শৈশবে আমরা দুজন একসঙ্গে বিভিন্ন ক্যারিবিয়ান দ্বীপে কত ঘুরেছি। ও এখন বিখ্যাত তারকা হয়ে গেছে (হাসি)।

 এবার আপনার ফুটবল প্রসঙ্গ। আপনি তো জ্যামাইকা জাতীয় দলেও খেলেছেন?
কাজিনস: ঠিকই শুনেছেন। গত বিশ্বকাপের আগে আমি জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছি জার্মানির বিপক্ষে। জুনিয়র ও সিনিয়র পর্যায় মিলিয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলেছি জ্যামাইকার হয়ে।

 সিনিয়র দলে কবে অভিষেক হয়েছিল?
কাজিনস: ২০০৮ সালে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিপক্ষে।

 কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ে গেলেন...
কাজিনস: ওই ম্যাচের পর টানা ৭টা ম্যাচ খেলেও কোনো গোল পাইনি। পারফরম্যান্স নিয়ে আমি নিজেই হতাশ ছিলাম।

 ঢাকায় আসার আগে কোথায় খেলেছেন?
কাজিনস: গত মৌসুমে সুইডেনের দ্বিতীয় বিভাগের দল অ্যাথলেটিক ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছি।

 শেখ রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ হলো কীভাবে?
কাজিনস: আমার এজেন্ট জানতে চেয়েছিল আমি এশিয়ায় খেলতে চাই কি না। আমি বাংলাদেশ ও দলটির নাম শুনে রাজি হয়ে যাই। এখানে ক্লাব কর্মকর্তা, টিমমেট সবাই খুব ভালো। মিশুক। ঢাকায় এসে খেলতে পারছি বলে খুব ভালো লাগছে।

 আপনার ফুটবলার হওয়ার গল্পটা বলুন।
কাজিনস: আমার বাবা ফুটবলার ছিলেন। যদিও বড় কোনো ক্লাবে খেলেননি। তবে বাবা চাইতেন যেন আমি ফুটবলার হই। ক্লারেনডনে আমাদের বাড়ির পাশে গ্লেনমিউর হাইস্কুলে পড়ার সময় সুযোগ পাই যুব একাডেমি দলে। সেখান থেকে পোর্ট মোর ইউনাইটেড ক্লাব দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু।

 জানেন নিশ্চয়ই শেখ রাসেল গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ী দল? আপনার ওপর স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রত্যাশা থাকবে দলের।
কাজিনস: এই প্রথম আমি এশিয়ায় খেলতে এসেছি। সুযোগ পেলে অবশ্যই পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করব। সবে একটা ম্যাচ খেললাম। এখানে প্রতিটি ম্যাচেই খেলতে চাই। শুনেছি, দলটি ট্রেবল জিতেছে গতবার। আশা করি, এবার আরও ভালো করব আমরা।