আলী-বচন

ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরির পোস্টার। ছবি-উইকি
ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরির পোস্টার। ছবি-উইকি

বক্সিং রিংয়ে শুধু গ্লাভস হাতে পাঞ্চ নয়, রসবোধের দিক দিয়েও অজস্র ‘পাঞ্চ লাইন’ জন্ম দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। গতকাল শুক্রবার না–ফেরার দেশে চলে যাওয়া সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ক্রীড়াবিদের স্মরণে তাঁর কিছু স্মরণীয় উক্তি—

১. কুমিরের সঙ্গে কুস্তি লড়েছি, তিমির সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। এই তো গেল হপ্তায় একটা পাহাড়কে খুন করে ফেললাম, আহত করলাম একটা পাথরকে, হাসপাতালে পাঠালাম একটা ইটকে। আমি এমনই ভয়ংকর যে ওষুধকেও অসুস্থ করে ফেলি!

২. কাল রাতে আমি এতটাই দ্রুত ছিলাম যে হোটেল রুমে লাইটের সুইচ বন্ধ করার পর আলো নিভে যাওয়ার আগেই পৌঁছে গেলাম বিছানায়।

৩. আমি বক্সিংয়ের নভোচারী। জো লুইস আর ডেম্পসি স্রেফ দুটো জেট পাইলট।

৪. আমাকে হারানোর স্বপ্ন দেখছ? তোমার উচিত এক্ষুনি ঘুম থেকে ওঠা এবং আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া।

৫. দুটি জিনিস আছে, যেগুলোকে আঘাত করা কিংবা দেখা যায় না—ভূত আর মোহাম্মদ আলী।

৬. আমি গ্রেটেস্ট নই। আমি ডাবল গ্রেটেস্ট।

৭. বক্সিং হলো এমন একটা খেলা, যেটা দেখতে অনেক সাদা মানুষ আসে, আর দুটো কালো মানুষ একে অন্যের সঙ্গে বীরদর্পে মারামারি করে।

৮. চলে না যাওয়ার আগে কেউ বুঝতে পারে না, সে কী হারাল। যেমন প্রেসিডেন্ট কেনেডি—কেউ তাঁকে পছন্দ করত না। যেমন বিটলস—ওদের মতো আর কেউ কখনো আসবে না। যেমন আমার প্রিয়তম গায়ক এলভিস প্রিসলি—আমি ছিলাম বক্সিংয়ের এলভিস।

রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল লড়াই নিয়ে
৯. জর্জ, তোর মধ্যে এতটুকুই ছিল, আর কিছু নেই!
১০ জর্জ ফোরম্যানকে আমি শ্যাডো বক্সিং করতে দেখেছিলাম। ছায়াটাই জিতেছিল।

‘থ্রিলা ইন ম্যানিলা’র আগে
১১. ফ্রেজিয়ার এতটাই কুৎসিত দেখতে, ওর উচিত ওর মুখমণ্ডলটা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ওয়াইল্ড লাইফ সংস্থাকে দান করে দেওয়া।
১২. ফ্রেজিয়ার এতটাই কুৎসিত, ও কাঁদলেও চোখের জল ঘৃণায় মাথার পেছনের দিকে চলে যায়।

১৩. লড়াইয়ের সময় আমি প্রতিপক্ষের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনি। বিশ্বকে জানাতে চাই, জো ফ্রেজিয়ার আমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনত। আমি বলব, ও অনেক বড় মাপের মানুষ ছিল, ঈশ্বর তার মঙ্গল করুন।

১৪. ভিয়েতনাম যুদ্ধে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে—
ওরা কেন আমাকে সেনার পোশাক পরে ১০ হাজার মাইল দূরে গিয়ে বাদামি বর্ণের মানুষের ওপর বোমা-বুলেট ফেলতে বলছে, যখন লুইসভিলেই তথাকথিত নিগ্রোদের সঙ্গে কুকুরের মতো আচরণ করা হয়।

১৫. ভিয়েতনামের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধিতা নেই। ভিয়েতনামের কেউ কখনো আমাকে ‘নিগার’ বলে গাল দেয়নি।

১৬. যে মানুষ ৫০ বছর বয়সে পৃথিবীটাকে একই দৃষ্টিতে দেখে, যেমনটা সে দেখত ২০ বছর বয়সে; বুঝতে হবে মাঝখানে স্রেফ ৩০ বছর সে অপচয় করেছে।

১৭. ক্যাসিয়াস ক্লে একটা দাস নাম। আমি এটা বেছে নিইনি, আমি এটা চাইও না। আমি মোহাম্মদ আলী, এটা একটা স্বাধীন নাম। এর মানে আল্লাহর প্রিয়জন। আমি অনুরোধ করি, এই নামেই লোকে আমাকে ডাকুক।