রকিবুলের স্মৃতিতে মোহাম্মদ আলী

মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল রকিবুল হাসানেরও। ছবি -প্রথম আলো।
মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল রকিবুল হাসানেরও। ছবি -প্রথম আলো।

খবরটা শুনেই চমকে উঠলেন রকিবুল হাসান। যেন কাছের কারও মৃত্যু সংবাদ শুনলেন। অথচ কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলী তাঁর কাছের কেউ নন। ভৌগোলিক দূরত্ব তো ছিলই, মোহাম্মদ আলী ক্লের সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার রকিবুলের তুলনার আসলে কোনো জায়গাই নেই।
তবু মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু সংবাদ ছুঁয়ে গেল তাকেও। সত্তরের দশকে যেবার ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী, সেবার বাংলাদেশের বক্সার আব্দুল হালিম, সাবেক ফুটবলার ও বর্তমানে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে তাঁরও যে সুযোগ হয়েছিল কিংবদন্তি বক্সারকে খুব কাছ থেকে দেখার! মঞ্চে উঠে তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে রকিবুল বলছিলেন, ‘মনে আছে আগের রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনি। এত বড় একজন বক্সারকে সামনে থেকে দেখব! যাঁকে এর আগে শুধু টেলিভিশনেই দেখেছি।’
মোহাম্মদ আলীকে কাছ থেকে দেখার রোমাঞ্চটা ছিল আরও বেশি, ‘অনেক স্টাইলিশ ছিলেন উনি। মনে আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সেদিন সাদা পোশাক পরে এসেছিলেন আলী। চোখে ছিল সানগ্লাস। গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শক দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। পরে তো স্ত্রী ভোরোনিকাকে নিয়ে ল্যাপ অব অনারও দিলেন একটা।’
সে সময়ের আরও অনেক তরুণের মতো রকিবুলও ছিলেন মোহাম্মদ আলীর ভক্ত। ‘বক্সিংকে খেলা নয়, মারামারিই মনে করত সবাই। কিন্তু তিনি বক্সিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন’-বলছিলেন রকিবুল।
বক্সিং রিংয়ের সেই শিল্পী আজ চলে গেলেন অন্য জগতে, যেখান থেকে ফিরে আসে না কেউ। ফিরবেন না মোহাম্মদ আলী ক্লেও।