আমি এসেছি আপনারও আসুন, ইংল্যান্ডকে ওয়ালশ

কোর্টনি ওয়ালশ। ফাইল ছবি
কোর্টনি ওয়ালশ। ফাইল ছবি

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছেন না ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক এউইন মরগান ও ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস। এ নিয়ে খোদ ইংল্যান্ডেই সমালোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, নিরাপত্তার ঝুঁকি বিশ্বের সব জায়গাতেই আছে। কিন্তু কোন কিছুই তো থেমে থাকছে না। এবার সেই দলে যোগ দিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। সদ্য নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশের বোলিং কোচ মঙ্গলবার বিবিসিকে বলেছেন, ‘সফরটা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আমি একটু অবাক। তবে আমি নিশ্চিত তাদের ( মরগান ও হেলস) দিক থেকেও যুক্তি আছে।’

ওয়ালশ নিজে একজন বিদেশি। বাংলাদেশে যা কিছু ঘটেছে, তাতে কেউ এখানে আসতে অস্বস্তি বোধ করতে পারে। তবে ওয়ালশ বলছেন, বর্তমান বিশ্বের কথা চিন্তা করলে নিজের কাজে আর এসব বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবলে চলে না।
তাই মরগানদের না-আসার পেছনে ব্যক্তিগত যতই যুক্তি থাকুক, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা সহজে নিতে পারছেন না ক্যারিবীয় কিংবদন্তি, ‘ক্রিকেটের কথা যদি চিন্তা করলে আপনি সেরা খেলোয়াড়দেরই চাইবেন। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য এটা কিছুটা হতাশারই। একই সঙ্গে বলব, ইংল্যান্ডের কিছু সমর্থকের জন্যও এটা হতাশার।’ তবে সফর এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে এসব আর কারও মনে থাকবে না, সবাই খেলাতেই ডুবে যাবেন মনে করছেন ওয়ালশ। সবাই তখন খুশি থাকবেন বলেও তাঁর বিশ্বাস।
অসম্পূর্ণ একটা দল নিয়ে আসা মানে বাকি খেলোয়াড়েরা অস্বস্তিতে থাকে। ওয়ালশ বলছেন, ‘আমি যদি একটি সফরে যাই এবং ওই সফর থেকে কিছু খেলোয়াড় সরে দাঁড়ায়, তখন আপনি কিছুটা হলে হতাশাবোধ করবেন এই জন্য যে, সবাই একসঙ্গে এই সফরে যাচ্ছে না। অবশ্যই একটি দলের দৃষ্টিকোণ থেকে যদি চিন্তা করেন, সবাই চাইবে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের নিয়েই সফরে যেতে।’
সব এক পাশে রেখে ওয়ালশের বিশ্বাস, বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে ইংল্যান্ড দলকে এবং সফরটা সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে। নিরাপত্তার কোনো সমস্যা দেখা দেবে না, ‘আমি এখানে নিরাপদ বোধ করছি এবং আত্মবিশ্বাসী।’ এরপর টেনে এনেছেন গোটা পৃথিবীর উদাহরণ, ‘নিরাপত্তাজনিত ঘটনা সবখানেই ঘটছে। এখানে আমাকে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর নিজের বাংলাদেশে আসার পক্ষে এটিকে দেখালেন জোরালো যুক্তি হিসেবেও। আর ইংল্যান্ডকে বলতে চাইলেন, ‘আমি এসেছি আপনারাও আসুন।’ সূত্র: আইএএনএস।