এক সেকেন্ডের গোলরক্ষক

নিক কুলকিন—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এক সেকেন্ড। ফাইল ছবি।
নিক কুলকিন—ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এক সেকেন্ড। ফাইল ছবি।

গোলরক্ষকদের কপালটাই এমন! দলের এক নম্বর গোলরক্ষক হতে না পারলে হয়তো গোটা মৌসুমে বেঞ্চই হয় ঠিকানা। তারপরও মাঝেমধ্যে অনেকের সুযোগ মেলে এক-আধটি ম্যাচে। কপাল ভালো থাকলে সংখ্যাটা বাড়তেও পারে।

কিন্তু এমন দুর্ভাগাও আছে, একটি ম্যাচও না খেলেই ক্লাব ছাড়তে হয়েছে যাঁদের। এই দুর্ভাগাদের তালিকায় অল্পের জন্য নাম ওঠেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক গোলরক্ষক নিক কুলকিনের। অল্পের জন্য বলাটা ঠিক হচ্ছে না, আসলে বলতে হবে মাত্র এক সেকেন্ডের জন্য! হ্যাঁ, ইউনাইটেডের মূল দলে পাঁচ মৌসুম কাটানো কুলকিন অফিশিয়াল ম্যাচে মাত্র এক সেকেন্ডই দাঁড়িয়েছিলেন গোলবারের নিচে।
১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্কে জন্ম নেওয়া কুলকিন ইউনাইটেডের যুব দলে এসেছিলেন ১৯৯৫ সালে। উন্নতিটা দ্রুতই করেছিলেন কুলকিন, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ইউনাইটেডের মূল দলে জায়গা করে নেন । কিন্তু একাদশে আর জায়গা মিলছিল না।
সুযোগটা এল দুই মৌসুম পর ১৯৯৯ সালে। ২২ আগস্ট আর্সেনালের বিপক্ষে খেলছিল ইউনাইটেড। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ, যোগ করা সময়ও প্রায় শেষের পথে। সবাই অপেক্ষা করছিলেন শেষ বাঁশির শোনার। আর এমন সময়েই চোটে পড়লেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক রেমন্ড ফন ডার গাউ। আর্সেনালের এক খেলোয়াড় ডাচ গোলরক্ষকের মুখে লাথি মেরেছিলেন। প্রায় ১০ মিনিট চেষ্টা করে ইউনাইটেডের ফিজিও জানিয়ে দেন, ফন ডার গাউয়ের পক্ষে আর খেলা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়েই নতুন গোলরক্ষক নামাতে হলো ইউনাইটেডকে। ‘সুযোগ’ পেলেন কুলকিন। মাঠে নেমেই যেই না ফ্রি কিক নিলেন কুলকিন, অমনি রেফারির শেষ বাঁশি!
এরপর ২০০২ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেডে থাকলেও আর কখনোই অফিশিয়াল ম্যাচে নামা হয়নি কুলকিনের। তবে এই ফাঁকে ধারে হাল সিটি, ব্রিস্টল রোভার্স ও লিভিংস্টোনের পোস্টের নিচে অনেক ম্যাচ খেলেছেন কুলকিন। ২০০২ সালে ইউনাইটেড ছেড়ে নাম লেখান কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সে।
জানিয়ে রাখা ভালো, কুলকিন কিন্তু এখনো ম্যানচেস্টারেই খেলছেন। সেই ক্লাবের নামে আবার ইউনাইটেড শব্দটাও আছে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির পুরো নাম এফসি ইউনাউটেড অব ম্যানচেস্টার। ইংলিশ ফুটবলের ষষ্ঠ স্তরের লিগ ন্যাশনাল লিগ নর্থে খেলছে ক্লাবটি।