'খুন' করতে চেয়েছিলেন শোয়েব!

শোয়েব আখতার
শোয়েব আখতার

মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে শোয়েব যেন আগ্রাসী, প্রতিবাদী এক চরিত্র। নিজের ক্ষোভ, কষ্ট চেপে রাখেননি কখনো। উগরে দিয়েছেন জনসম্মুখেই! খুব ইচ্ছে ছিল, ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালটি খেলবেন। সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। একবুক কষ্ট নিয়েই অবসর নিতে হয়েছে। শোয়েবের অভিযোগ, এ করুণ বিদায়ের নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন ওই সময়ের কোচ ওয়াকার ইউনুস ও টিম ম্যানেজম্যান্টের দায়িত্বে থাকা ইন্তিখাব আলম। পারলে তিনি নাকি খুনই করতেন দুজনকে!

ডেভ হোয়াটমোরের বিদায়ের পর পাকিস্তানের নতুন কোচের দায়িত্ব ওয়াকারকে দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই খবরে বেশ চটেছেন শোয়েব। জিও সুপার চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে রীতিমতো ক্ষোভ ঝরে পড়েছে তাঁর কণ্ঠে, ‘ওয়াকার ভালো অধিনায়কও ছিল না, ভালো কোচও নয়।’

ক্ষোভের কিছু কারণও রয়েছে। তাঁর ধারণা, ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালটি খেলতে পারেননি ইন্তিখাব ও ওয়াকারের কারণে, ‘অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সম্মতি থাকা সত্ত্বেও টিম ম্যানেজম্যান্ট ইন্তিখাব আলম ও ওয়াকার ইউনুস আমাকে “আনফিট” ঘোষণা করল, জানার পরও মাঠে নামতে চেয়েছিলাম।’ ওই সময় নাকি পিন্ডি এক্সপ্রেসের মাথায় খুন চড়ে গিয়েছিল। শুনুন তাঁর মুখেই, ‘আমার জন্য এটা ছিল সবচেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা। বিশ্বাস করুন, যদি পারতাম আর সৃষ্টিকর্তার বাধা-নিষেধ না থাকত, খুন করতাম ওদের যে কাউকে!’

শোয়েব ভীষণ মুখিয়ে ছিলেন ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে, সেটিও খোলাসা করলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালটি ছিল অনেক বড় এক ম্যাচ। জানতাম, যদি খেলতে পারি তবে প্রথম ১০ ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারব। তাঁরা যখন আমাকে খেলতে দিল না, ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম, ভীষণ। জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমি আনফিট—এ সিদ্ধান্ত আপনারা কীভাবে নিলেন?’

ইন্তিখাব ও ওয়াকারের সঙ্গে ঝুট-ঝামেলা থাকলেও অধিনায়ক আফ্রিদির সঙ্গে নাকি তাঁর কোনো ফেঁকড়া বাধেনি, ‘আমরা একে অপরকে প্রচুর সমর্থন করেছি। শহীদ চেয়েছিল সেমিফাইনালে আমাকে খেলাতে। কিন্তু ওই ইন্তিখাব ও ওয়াকারগং চায়নি!’

ক্রিকেট বোর্ড ও অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াকার। নতুন কোচ হিসেবে এসেছিলেন ডেভ হোয়াটমোর। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওয়াকারকেই আবার কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ। সূত্র: পিটিআই।