আর্সেনালকে উড়িয়ে দিল সিটি

আর্সেনালকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেষ্টার সিটি।
আর্সেনালকে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেষ্টার সিটি।

এমনিতেই বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের মাঠে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে চনমনে হয়ে উঠেছিল ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির দল। এর ওপরে আবার নিজেদের মাঠে খেলা। ফলে আর্সেনালকে চেপে ধরবে, এটাই অনুমিত। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ থাকা আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল গোল বন্যায় ভাসবে, এটি কেউ ভেবেছিল? হলোও তা-ই! ইস্টল্যান্ডে সিটির কাছে আর্সেনাল হারল ৬-৩ ব্যবধানে।

ঘরের মাঠ, মিউনিখ বধের সুখস্মৃতি— ম্যাচের আগে স্বাভাবিকভাবেই ম্যানচেস্টার সিটির আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। মাঠেও তার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটাল পেলিগ্রিনির সেনানীরা। এদিন গোলের পাইপটা খুলেছিলেন সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরো। ১৪ মিনিটেই আর্সেনালের জালে জড়িয়ে দেন বল। ওয়ালকোটের বদৌলতে ১৭ মিনিট পর আর্সেনাল গোল পরিশোধও করে দেয়। এতে যেন আরো তেতে ওঠে সিটি। নেগ্রেদো ও ফার্নেনদিনহোর পরপর দুই গোলে সিটি এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।

আর্সেনালের ত্রাতা হিসেবে আবারো দৃশ্যপটে হাজির ওয়ালকোট। ৬৩ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মতো বল জড়ান সিটির জালে। কিন্তু গানারদের উড়িয়ে দিতেই পণ করেছিল সিটি। ফলে ব্যবধান বাড়ল ৬৬ মিনিটে ডেভিড সিলভার গোলে। ৮৮ মিনিটে আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ফার্নেনদিনহো।

আশার তরী ডুবেছিল আগেই। তবুও শেষ সান্ত্বনা হিসেবে অতিরিক্ত সময়ে মার্তেসেকার বল খুঁজে পায় সিটির জাল। ততক্ষণে অবশ্য পরাজয় চূড়ান্ত। শেষমেশ ফলাফল— সিটি ৬, আর্সেনাল ৩। এমন বিরাট পরাজয়ের লজ্জা আর্সেনাল সর্বশেষ পেয়েছিল ২০১১-১২ মৌসুমে। সেবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল ৮-২ ব্যবধানে।

অন্যদিকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসি।  ১৬ মিনিটে তোরেসের গোলে এগিয়ে গেলেও ২৯ মিনিটের মাথায় চমখের গোলে সমতা ফেরায় প্যালেস। ৩৫ মিনিটে রামিরেসের জয়সূচক গোলে অবশ্য স্বস্তি খুঁজে পায় মরিনহোর দল।     

আর্সেনালের বিপক্ষে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে উল্লফন হয়েছে সিটির। চার থেকে উঠেছে তিনে। আর্সেনাল ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও ৩৩ পয়েন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে চেলসি ও ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।