অঘটনের স্বপ্ন নিয়ে আজ নামবে নামিবিয়া
বিশ্ব ক্রিকেটে নামিবিয়ার নাম প্রথমবারের মতো উচ্চারিত হয় ২০০৩ সালে। সেবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল দলটি। কিন্তু সেই বিশ্বকাপের পরই হারিয়ে যায় নামিবিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর নামিবিয়া প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল। ওমানের বিপক্ষে সে ম্যাচের এক দিন আগেই হংকংয়ের বিপক্ষে ১৫১ রানে জিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করে নামিবিয়া।
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও নাম লেখায় নামিবিয়া, প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পায় ঘানাকে। ম্যাচটি ৫৫ রানে জিতে এই সংস্করণে শুভ সূচনা করেছে দলটি। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিয়েছে দলটি। প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ। কিন্তু ভয় পাচ্ছে না দলটি। অঘটন ঘটানোর স্বপ্ন নিয়েই আজ মাঠে নামছে দলটি।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নামিবিয়ার পড়েছে গ্রুপ ‘এ’–তে, এই গ্রুপে তাদের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। শক্তির বিচারে গ্রুপ ‘বি’ থেকে গ্রুপ ‘এ’-এর দলগুলো তুলনামূলকভাবে এগিয়েই আছে। তাই এই গ্রুপ থেকে নির্বাচিত হওয়াটা হবে বেশ কঠিন।
কিন্তু হাল ছাড়ছেন না নামিবিয়া ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়োহান মুলার, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি কঠিন গ্রুপে পড়েছি। কিন্তু আমরা এতে মোটেই দমে যাচ্ছি না, অঘটন ঘটানোর মতো মানসিকতা নিয়েই খেলতে যাচ্ছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলেছেন মুলার। আর সেটা হলো ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব খেলা, ‘যদি আমরা এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে (সুপার টুয়েলভ) যেতে পারি, তাহলে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারব। আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি মূল পর্বে খেলাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বর্তমানে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো করাটাই মূল লক্ষ্য নামিবিয়ার। এ জন্য ২০১৮ সাল থেকে লাল বলের ক্রিকেট খেলছে না তারা। মুলারের ভাষ্যমতে, সাদা বলের ক্রিকেটই নামিবিয়াকে ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাগুলোয় সুযোগ করে দেবে।
এ ছাড়া ইয়োহান মুলারের বোর্ড একটা জিনিস পরিষ্কারভাবে বুঝে গিয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করার জন্য অর্থের কোনো বিকল্প নেই। নামিবিয়া বোর্ড এ জন্য হন্যে হয়ে ছুটেছে টাকার পেছনে। ২০১৯ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বারবার হাজির হয়েছে আইসিসির দুয়ারে তাদের জন্য বরাদ্দ করা বার্ষিক অনুদান বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। এর ফলও পেয়েছে তারা। ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর নামিবিয়া পেত বছরে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ ডলার। সেখান থেকে এই অঙ্ক বেড়ে এখন হয়েছে ১১ লাখ ডলারের মতো।
গতকাল বাংলাদেশকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে স্কটল্যান্ড। নামিবিয়াও কি আজ রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে আরেকটি অঘটনের জন্ম দেবে?