ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি। কিন্তু যে উইকেটে খেলা হচ্ছে সেটি টি-টোয়েন্টির জন্য মোটেই আদর্শ নয়। এর মানে আবার এটাও নয় যে রান করা একদমই অসম্ভব। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দল দেখিয়েছে মন্থর উইকেটে কীভাবে রান করতে হয়! টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

মাহমুদউল্লাহ শেষ দিকে দ্রুত রান এনে দিয়েছেন
ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা একদমই ভালো হচ্ছিল না। আজ পাওয়া গেল সেই কাঙ্ক্ষিত পাওয়ার প্লের রান। লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেছে ৫৯ রান। যার সিংহভাগটা এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। ২৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন লিটন। ভালো শুরু পাওয়ার কারণেই আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে মন্থর উইকেটেও ভালো একটা স্কোর গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ।

লিটন অবশ্য প্রতিটা রানের জন্য কিউই অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কোল ম্যাকনকির বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন লিটন। কিন্তু স্কয়ার লেগে থাকা ডি গ্র্যান্ডহোম সহজ ক্যাচটি ধরতে পারেননি। পরের ওভারেই বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ওপর চড়াও হন লিটন, পর পর দুই বলে দুটি চার মারেন তিনি। আরেক প্রান্তে বরাবরের মতোই সতর্ক ছিলেন নাঈম।

ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো গোল্ডেন ডাক পেয়েছেন মুশফিক
ছবি: প্রথম আলো

দুজনের ‘ওয়ানডে’ ধাঁচের ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৬ রান রেটে ৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির মারমুখী ক্রিকেট থেকে ভিন্ন হলেও মিরপুরের উইকেটের জন্য এমন একটা শুরুই আদর্শ ছিল। যার সুবিধাটা নিতে পেরেছে বাংলাদেশ দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা। দশম ওভারে প্যাটেলকে ছক্কা মারার পরের বলে লিটন আউট হন, পরের বলে মুশফিকুর রহিমও স্টাম্পিংয়ের শিকার হলেও রানের গতি কমেনি। ক্রিজে এসেই সাকিব আল হাসান খেলতে পেরেছেন হাত খুলে। ৭ বল খেলে ২ চারে ১২ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও ব্যাটের মাঝখানটা খুঁজে নেন দ্রুতই। ওপেনার নাঈমের সঙ্গে ২৯ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ রান যোগ করেন তিনি। পুরো ইনিংস জুড়ে মন্থর ব্যাটিং করে যাওয়া নাঈম আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে ফিরেছেন আউট হয়ে। ১৬তম ওভারে রচিন রবীন্দ্রর বলে ছক্কা মারার চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন তিনি। পরের ওভারেই এজাজের বাঁহাতি স্পিনে মারার চেষ্টায় আউট হন ছন্দে থাকা আফিফ হোসেন। বাংলাদেশ দলের রান তখন ৫ উইকেটে ১০৯।

আগ্রাসী শুরু করেও ইনিংস টানতে পারেননি সাকিব
ছবি: প্রথম আলো

সেখান থেকে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে ১৪১ রানে নিয়ে যান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান। দুজনে মিলে ২১ বলে ৩২ রান যোগ করেন। মাহমুদউল্লাহ ৩২ বল খেলে ৫টি চার মেরে অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। নুরুলের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে অপরাজিত ১৩ রান।

নিউজিল্যান্ড পেসারদের কিছু কৌশলগত ভুলও বাংলাদেশের রান বাড়তে সাহায্য করেছে। হামিশ বেনেট, ডগ ব্রেসওয়েল ও বেন সিয়ার্সরা বল করেছে গতি দিয়ে, যা ব্যবহার করে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বেশ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছে।