অভিযোগ খণ্ডন আম্পায়ার্স কমিটির

প্রিমিয়ার লিগের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রবল আপত্তি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্ণধার লুৎফর রহমানের। এ ব্যাপারে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। চিঠি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকেও। বোর্ড সভাপতি সংবাদমাধ্যমে জবাবও দিয়েছেন। কাল লুৎফর রহমানের অভিযোগ নিয়ে কথা বললেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান নাজমুল করিমও।
আম্পায়ার্স কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে ছয় আম্পায়ারের নাম উল্লেখ করে তাঁদের লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন লুৎফর রহমান। এই ছয় আম্পায়ার হলেন মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল মতিন, ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ ওয়াহিদ ও রফিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে নাজমুল করিমের বক্তব্য, ‘কোনো দল নির্দিষ্ট কোনো আম্পায়ারের নাম দিয়ে বলতে পারে না, আমাদের খেলায় ওই আম্পায়ার দেওয়া যাবে না। এটা অবৈধ। লিগে ১২টি দল খেলে। এভাবে একেক ক্লাব যদি ৩-৪ জন করে আম্পায়ারের ব্যাপারে বলে তাহলে তো আম্পায়ারই থাকবে না!’
প্রিমিয়ার লিগের ৩১ জন প্যানেল আম্পায়ারের তালিকা দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলার সময় ছয়জন আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার সেখানে দায়িত্বরত ছিল। সে জন্য তাদের আমরা এখানে (লিগে) দায়িত্ব দিতে পারিনি। তবে যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা প্যানেল আম্পায়ার। সোহরাবকে নিয়ে অভিযোগ, উনি নাকি দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ম্যাচ চালান, প্রথম বিভাগও চালাননি। অথচ তিনি প্রিমিয়ার লিগের প্যানেল আম্পায়ার।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেন রূপগঞ্জের ম্যাচে প্রথম সারির আম্পায়ার দেওয়া হলো না—এমন প্রশ্নে আম্পায়ার্স কমিটি প্রধানের ব্যাখ্যা, ‘আজকের কলাবাগান-ব্রাদার্স ম্যাচের কথাই ধরুন। এখানে আমি সৈকতকে (শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ) এ ম্যাচটা করতে বলেছিলাম। কিন্তু সৈকত নিয়মিত আম্পায়ারিং করছে এবং গতকালও (পরশু) করেছে। সে আমাকে বলেছে, সে অসুস্থ। সে তো মানুষ, যন্ত্র না তো! কেউ যদি বলে আমি ১০টা ম্যাচ করেছি পরপর, আমাকে বিশ্রাম দেন, দিতে হবে না? আমাকে তো তখন বিকল্প খুঁজতেই হবে।’
তবে নাজমুল করিম স্বীকার করেছেন, কোনো কোনো আম্পায়ার কোনো কোনো দলের ম্যাচে বেশি দায়িত্ব পাচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম যেমন আবাহনীর সর্বশেষ তিন ম্যাচেই আম্পায়ার ছিলেন। মিজানুর রহমান ছিলেন চার ম্যাচে। তাঁদের বিরুদ্ধে আবাহনীর হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও আছে। আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান আশ্বাস দিলেন, ‘যেহেতু কথাটা উঠেছে, ভবিষ্যতে আম্পায়ার দেওয়ার সময় আমরা এটা খেয়াল রাখব। এক আম্পায়ার যাতে একই দলের দু-তিনটি ম্যাচ না পায়। আমরা যখন শিডিউল করি তখন অনেক সময় অসাবধানতাবশত এটি হয়ে যায়। এগুলোর ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।’ প্রয়োজন হলে সুপার লিগে বিদেশি আম্পায়ারও আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লুৎফর রহমান আম্পায়ার গাজী সোহেলকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করলেও সেটা উড়িয়ে দিয়েছেন নাজমুল করিম, ‘আম্পায়ার একজন বিচারক। তাঁকে বহিষ্কার করা যায় না। পর পর কাউকে যদি ৩-৪ দিন ম্যাচ দেওয়া না হয় তার মানে এই নয় যে এটা শাস্তি। আমি আজকের (গতকাল) ম্যাচেও গাজী সোহেলকে দিতে চেয়েছিলাম। সোহেলই বলেছে, স্যার আমাকে আর কয়েকটা দিন পরে দেন।’