আইপিএলের সবচেয়ে দ্রুতগতির বিশে ভারতের এক

গতির প্রশ্নে আর্চারের ধারেকাছে নেই কেউ।ছবি: আইপিএল

অস্ট্রেলিয়া দলে পেসারদের কাজটা ভাগ করে দেওয়া আছে। প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্কের ওপর যে দায়িত্ব আছে, সেটা কখনো জশ হ্যাজলউডের কাঁধে পড়ে না। হ্যাজলউডের কাজ লাইন লেংথ মেনে টানা বল করে যাওয়া। আর গতির ঝড়-টড় তোলার কাজটা স্টার্ক অথবা একটু হলেও কামিন্সের। কিন্তু আইপিএল দেখলে বিভ্রান্ত হবেন সবাই। গতিতারকা পরিচিত দুই সতীর্থকেই পেছনে ফেলে দিয়েছেন হ্যাজলউড।

আইপিএল শুরু হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। তিনটি করে ম্যাচও খেলে ফেলেছে সবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটেও দারুণ পারফরম্যান্স পেস বোলারদের। সুইংকে অস্ত্র বানানোর খুব বেশি সুযোগও নেই, তাও কেউ বৈচিত্র্য, আর কেউ গতিকেই সম্বল করে নামছেন শারজা, দুবাই ও আবুধাবিতে। এখন পর্যন্ত আইপিএলের ১২ ম্যাচের সর্বোচ্চ ২০ দ্রুতগতির বলের তালিকা করতেই উঠে এসেছে মজার এক তথ্য। এই ২০ বলের একটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজলউড। আরেকটি বল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নবদ্বীপ সাইনির। আইপিএলের সর্বোচ্চ গতির ২০ বলের মধ্যে ভারতীয় উপস্থিতি বলতে সাইনির এ বলটিই আছে।

আইপিএলের ১৩তম সংস্করণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব বড় তারকাই হাজির হয়েছেন।  চোটাঘাতে আক্রান্ত না হলে বহুদিন পর জমজমাট প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের আকর্ষণে ছুটে এসেছেন সবাই। প্রথম ১২ ম্যাচেই টান টান উত্তেজনার বেশ  কিছু ম্যাচ দেখা গেছে। সুপার ওভারের দেখাও মিলেছে একাধিকবার। কাগিসো রাবাদা, মোহাম্মদ শামি, এমনকি ভারতীয় তরুণ শিবম মাভিরাও নজর কাড়ছেন। তবে গতির প্রশ্নে কাউকেই ধারেকাছে ঘেঁষতে দিচ্ছেন না জফরা আর্চার।

বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে জানেন। এবারের আইপিএলে ব্যাট হাতে বেশ বড় বড় ছক্কা মারলেও বিধ্বংসী কোনো স্পেল এখনো পাওয়া যায়নি আর্চারের কাছ থেকে। চেষ্টা যে করছেন না, সেটাও নয়। আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতির বলের যে তালিকা পাওয়া গেছে, তাতে যে রাজস্থান রয়্যালসের আর্চার ছাড়া অন্য নাম খুঁজে নিতেই কষ্ট হচ্ছে। আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতগতির বলটি ছিল ঘণ্টায় ১৫২.১৩ কিলোমিটার বেগে। এরপরই আছে আর্চারের ১৫০.৮২ ও ১৫০.৭৫ কিলোমিটার গতির আরও  দুটি বল। অন্য কোনো বোলার এখনো পর্যন্ত  দেড় শ কিলোমিটারের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ভালো গতিতে বল করছেন সাইনি।
ছবি: আইপিএল

দেড় শ কিলোমিটারের সবচেয়ে কাছে যেতে পেরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্তিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা এই ফাস্ট বোলারের সর্বোচ্চ গতির বলটি ছিল ঘণ্টায় ১৪৮.৯২ কিলোমিটার। তবে তাঁর এ বলের চেয়ে আরও গতিময় চারটি বল আছে আর্চের। অর্থাৎ নর্তিয়ের বলটি আছে আটে। আবার কিছুক্ষণ আর্চারের রাজত্ব শেষে ১৩-তে স্থান পেয়েছেন সাইনি। আরসিবির ২৭ বছর বয়সী পেসার এবার আইপিএলে তিন ম্যাচে পূর্ণ ১২ ওভারই খেলেছেন। এর মাঝে একটি বল ছিল ঘণ্টায় ১৪৭.৯২ কিলোমিটার গতির।

সে তুলনায় হ্যাজলউড দুর্ভাগা। মাত্র এক ম্যাচ খেলতে পেরেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। সে ম্যাচেই সবাইকে চমকে দিয়ে ১৪৭.৩২ কিলোমিটার গতিতে একটা বল ছুড়েছেন। সর্বোচ্চ গতির তালিকার বিশে আছে এই বল। ১৯-এ আছে নর্তিয়ের আরেক বল। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যবধানে (ঘণ্টায় ০.০১ কিলোমিটার) এগিয়ে থেকে সে বল আছে উনিশতম স্থানে। তালিকার বাদবাকি সব বল আর্চারের!