রবিচন্দ্রন অশ্বিন রসিকতা করে কথাটা বললেও ডেভন কনওয়ের ক্ষেত্রে সেটি বড় আক্ষেপই। আর চার দিন আগে যদি খেলাটা হতো! গতকাল ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কনওয়ে যে ইনিংসটি খেলেছেন, সেটি আইপিএল নিলামের আগ দিয়ে হলে নিশ্চিত এই কিউই ব্যাটসম্যানের প্রতি আগ্রহী হতেন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। গতকাল তাঁর ব্যাটিং দেখে যে কারওরই মনে হতে পারে, কনওয়ে কীভাবে আইপিএল নিলামে অবিক্রীত থাকেন!
ভারতীয় অফ স্পিন তারকা অশ্বিন কাল টুইট করেছেন, ‘ডেভন কনওয়ে মাত্র চার দিন দেরি করে ফেলেছে। কী অসাধারণ এক ইনিংস!’
কাল ক্রাইস্টচার্চের ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ড শুরুতে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল ব্যাটিংয়ে নেমে। স্কোরবোর্ড ১৯ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৩ উইকেট। এরপর কনওয়ে নামলেন। বাকিটা ইতিহাস। ৫৯ বলে তিনি খেললেন ৯৯ রানের ইনিংস। ৭৯ মিনিটের এই ইনিংসে ছিল ১০ খানা বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা। তাঁর ব্যাটে ভর করেই শুরুতে দিশেহারা নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গিয়ে ঠেকে ৫ উইকেটে ১৮৪। অস্ট্রেলিয়া এর জবাবে ১৩১ রানের বেশি এগোতে পারেনি। হেরেছে ৫৩ রানে। কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধি ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আইপিএল নিলামে অবিক্রীত ছিলেন এই সোধিও।
২৯ বছর বয়সী কনওয়ের নাম আইপিএল নিলামে ছিল। ভিত্তিমূল্য খুব বেশি ছিল না, মাত্র ৫০ লাখ রুপি। কিন্তু কালকের আগে কনওয়েকে কজনই-বা ভালো করে চিনতেন! যদিও তাঁর রেকর্ড কিন্তু দারুণ কিছুই বলছে। ৭টি মাত্র টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন, এরই মধ্যে ফিফটি পেয়েছেন ৩টি। গড় ৯১.০০। স্ট্রাইকরেটও প্রশংসা করার মতোই—১৫৬.৮৯। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির বাইরে তিনি খেলেছেন ২০ ওভারের আরও ৮৭টি ম্যাচ। ২ হাজার ৯৪৯ রান করেছেন ৪৪.৬৮ গড়ে। স্ট্রাইকরেট ১২৮.৮৮। ২২টি ফিফটির পাশাপাশি আছে ২টি সেঞ্চুরিও। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ৭ হাজার রান তাঁর। করেছেন ১৮টি সেঞ্চুরি।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্রিস মরিসদের ভাগ্য দেখে কাল ক্ষণিকের জন্য হলেও কনওয়ে যদি মানসিক অবসাদে ভোগেন, তাহলে তাঁকে খুব বেশি দোষ দেওয়া যাবে না!