সে না হয় পাননি, পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম ইনিংসে এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেট হাতে থাকলেও কেউ অর্ধশতক পাবেন না—এই জ্যোতিষবিদ্যা ফলানোর আত্মবিশ্বাস কোত্থেকে আসছে? ওই যে, অতীতের ধারা!
গত বছরের ৩ জানুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ব্যাট নিজেদের মাটিতে টেস্টে শতক তো দেখেইনি, অর্ধশতকই দেখেছে ১৩টি। সেই ১৩টি আবার শুধু তিন ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকেই এসেছে—ডিন এলগারের ৫টি, টেম্বা বাভুমার ৪টি, কিগান পিটারসেনের ৪টি।
এবার পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে গতকাল প্রথম দিনের শেষে স্কোরকার্ডের দিকে তাকান! ডিন এলগার আউট হয়ে গেছেন ৭০ রান করে, পিটারসেন ৬৪ রানে, বাভুমা ৬৭ রানে। ব্যস, তাহলে তো বাংলাদেশের আর চিন্তাই নেই! আর কেউ অর্ধশতকই পাবেন না, শতক তো পরের কথা—রেকর্ড তো তা-ই বলছে।
আহা, শুধু যদি ক্রিকেট এত সহজ হিসাবে চলত!
ক্রিকেটের হিসাব-নিকাশটা জটিল, বাংলাদেশ তাই একেবারে আত্মবিশ্বাসী হতে পারছে না। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও এই ধাঁধাটা মেলাতে পারছে না! কেউ শতক কেন পায় না? গতকাল টসের সময়ই অধিনায়ক ডিন এলগার পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে আশার কথাটা জানিয়েছিলেন, ‘কেউ একজনের ব্যাট হাতে তিন অঙ্কের একটা ইনিংস খেলা গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ প্রথম দিনে সেটির খুব কাছে গিয়েছিলেন এলগার, বাভুমা আর পিটারসেনই। কিন্তু তিনজনই আউট হয়ে গেছেন।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রসঙ্গটা আবার এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ নিজেদের মাটিতে শতক কেন পান না? সমস্যাটা কোথায়?
এটি যে একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে আসা কিগান পিটারসেনও, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না কেন এমন হচ্ছে। সুযোগ তো কম পাইনি আমরা। বেশ কয়েকটি অর্ধশতক হয়েছে, কিন্তু কেউ সেটিকে টেনে নিতে পারিনি। আমিসহ সবারই শতক হাতছাড়া হচ্ছে, এটা যে চেষ্টার কমতির কারণে হচ্ছে, তা নয়। আমরা সবাই-ই স্কোর বড় করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু হচ্ছে না।’
১০০ আর ৫০-এর পার্থক্যটা তো আর আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না, পিটারসেন তবু নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘শতক পেলে সেটি আমাদের আরেকটু ভালো অবস্থানে টেনে নিত। অর্ধশতকে দুই দলেরই ভারসাম্য থাকে, শতক আমাদের আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যেত।’