আবার তিন দিনে টেস্ট শেষ করার ইঙ্গিত পাকিস্তানের

প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন আবিদ।
ছবি: টুইটার

প্রথম টেস্ট তিন দিনেই শেষ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে অমন কিছু ভাবা যায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে নিজেদের পরিচিত রূপে ফিরেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনে ৫২ রান তুলতে প্রথম ইনিংসের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। হারারেতে এখনই ৪৫৮ রানে পিছিয়ে পড়া জিম্বাবুয়ের জন্য এই ম্যাচেও হারই ভবিতব্য।

কাল প্রথম দিনে ২৬৮ রান তোলা পাকিস্তান আজও দিনের অর্ধেকের বেশি খেলেছে। দুই সেশন ব্যাট করেও তাদের তৃপ্তি মেটেনি। শেষ সেশনেও ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। সেটা বোলার নোমান আলীর সেঞ্চুরির অপেক্ষাতেই। কিন্তু প্রথম শ্রেণিতেও কোনো সেঞ্চুরি না করা নোমান ৯৭ রানে আটকে গেলেন। পাকিস্তানও ৫১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। ইনিংস ঘোষণা করতে এই যে দেরি করা, সেটা অবশ্য দিন শেষ হওয়ার আগেই পুষিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান।

১৬৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
ছবি: টুইটার

কাল ১১৮ রানে অপরাজিত থাকা আবিদ আলী টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেছেন আজ। চা-বিরতির আগেই সেটা পেয়ে গেছেন। তবু ইনিংস ঘোষণা করেননি বাবর আজম। পাকিস্তান অধিনায়কের অপেক্ষা ১৪ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এই প্রথম সেঞ্চুরির কাছে পৌঁছানো নোমানের জন্য।

৯৩ রানে দাঁড়ানো বাঁহাতি স্পিনার বিরতির পর প্রথম বলটাকে সীমানা ছাড়া করেছেন। কিন্তু পরের বলেই ৩৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার টেন্ডাই চিসোরোর ওয়াইড বলে স্টাম্পড। উইকেটের অন্য পাশে ২১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আবিদ। অষ্টম উইকেট জুটিতে নোমানকে নিয়ে ১৬৯ রান যোগ করেছেন আবিদ।

পাকিস্তানের পেসাররা জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন।
ছবি: টুইটার

এরপর আরেকটি তিন দিনের টেস্টের আভাস দিয়ে দিনটা শেষ করেছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৫২ রান তুলে। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন পাকিস্তানের ৩৬ বছর বয়সী পেসার তাবিশ খান। দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুয়ে ওপেনার তারিসাই মুসাকান্দাকে শূন্য রানে এলবিডব্লু করে দেন ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত তাবিশ। বাকি তিনটি উইকেট ভাগাভাগি করেছেন শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী ও সাজিদ খান।

শেষ সেশনের মতো প্রথম সেশনেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন বোলাররা। ৪ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় ৭ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলে। ৩৪১ রানে সপ্তম উইকেট খোয়ানোর পর জুটি বাঁধেন আবিদ-নোমান। আগের দিনই টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়া আবিদ প্রথম সেশনেই ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০ রানের মাইলফলক।