টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার হতাশা তখনো ঘিরে রেখেছে সবাইকে। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সফরে চলে আসে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা পাকিস্তান দল। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামার আগে তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজও খেলেছে বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে। সেই দলে ছিলেন না টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকা লিটন দাস। কিন্তু টি–টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়াটাই নাকি টেস্টে শাপেবর হয়েছে তাঁর জন্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শত রানের ইনিংস খেলতে সেটাই নাকি সাহায্য করেছে তাঁকে।
আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে যে জন্য আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল, হয়তো সেটারই ফলাফল এই শতক। হয়তো তাঁরা ভেবেছিলেন, আমি যেন টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করি, এ জন্য টি-টোয়েন্টি থেকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময়টায় বিকেএসপিতে প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ খেলেছেন লিটন। সেখানেই বিকেএসপির দুই প্রশিক্ষক মন্টু দত্ত ও নাজমুল আবেদীনের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করেছেন। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স কাজ করেছেন লিটনের স্টান্স নিয়ে।
নেওয়ার চেষ্টা করব।’
সংবাদ সম্মেলনে লিটন ফিরে তাকান সে দিকেই, ‘অনেক সময় ছোট্ট একটা বদল আনলেই অনেক কিছু হয়ে যায়। হয়তো গ্রিপ পরিবর্তন করলেই খেলার ধরন বদলে যায়। জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলতে আমি যখন বিকেএসপিতে ছিলাম, তখন ফাহিম স্যার ও মন্টু স্যারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। চট্টগ্রামে আমাদের যে দুটো অনুশীলন সেশন হয়েছে, তখন প্রিন্সের কাছেও মনে হচ্ছিল, আমার ছোট্ট একটা জায়গাতে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে আমার স্টান্সে তিনি কিছু একটা পরিবর্তন এনেছেন। আমি বলব না যে স্টান্স বদলানোর কারণেই ভালো করেছি। তবে এর পেছনে আমার কষ্ট ছিল, পরিশ্রম ছিল।’
সেঞ্চুরি করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি আরও বড় করতে না পারার আক্ষেপটা থেকেই যাচ্ছে লিটনের। গতকালের ব্যক্তিগত ১১৩ রানের ইনিংসের পর আজ সকালে ১১৪ রানেই থেমে গেছে লিটনের ইনিংস। লিটনের আউটে ম্যাচের মোড়ও ঘুরেছে পাকিস্তানের পক্ষে। গতকাল মুশফিকের সঙ্গে রেকর্ড ২০৬ রানের জুটিটা ভাঙার পর আর বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশ দলের ইনিংস। ৩৩০ রানেই থেমে গেছে তারা। পাকিস্তান কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে করেছে ১৪৫ রান।
এ নিয়েও আফসোস আছে লিটনের, ‘আমি আর মুশফিক ভাই যদি আরেকটু ভালো ব্যাটিং করতাম, তাহলে ৪০০-৪৫০ রান হতো। ম্যাচের চিত্রটাও ভিন্ন হতো। পরে যদি বোলিংয়ে ওদের ২-৩ উইকেট নিতে পারতাম, তাহলেও ভিন্ন কিছু হতে পারত। তবে এখনো খেলা দুই দলের দিকেই আছে। আমরা কাল সকালেই ওদের ২-৩ উইকেট