আসালাঙ্কা কিছুই টের পেতে দিলেন না
৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন এ বাঁহাতি। উইকেটে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রথম ওভারে। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে ‘জীবন’ পান লিটন দাসের হাতে।
আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। শারজার মন্থর উইকেটে এ সংগ্রহ তাড়া করা কঠিন হবে—হিসাব কষেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
কিন্তু চারিত আসালাঙ্কা কিছু টের পেতে দিলেন না। অস্ত্রোপচারকক্ষে চিকিৎসক যেভাবে ‘সার্জিক্যাল নাইফ’ দিয়ে চিরে ফেলেন, আসালাঙ্কাও তেমনি উইলো দিয়ে চিরলেন বাংলাদেশের হৃদয়।
৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন এ বাঁহাতি। উইকেটে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার ইনিংসে প্রথম ওভারে। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে ‘জীবন’ পান লিটন দাসের হাতে। সীমানায় তাঁর ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন। ওই ওভার (১৫তম ওভার) শেষেও শ্রীলঙ্কা চাপে ছিল।
শেষ ৩০ বলে দরকার ছিল ৪৬ রান। আসালঙ্কা এখান থেকেও কিছু টের পেতে দেননি। নিজের সহজাত স্ট্রোকে ভরসা রেখে ৭ বল বাকি থাকতে জয় এনে দেন শ্রীলঙ্কাকে।
আসালাঙ্কার ইনিংসটি নিশ্চিতভাবেই অনেক দিন মনে রাখবেন শ্রীলঙ্কার সমর্থকেরা। ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি মাথার ওপর ১৭০–এর বেশি রানের চাপ। ৩২ বলে যখন ফিফটি তুলে নিলেন, ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারা হয়ে গেছে।
শ্রীলঙ্কা তখন ৪৩ বলে ৬৮ রানের দূরত্বে। পথটা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আসালাঙ্কার দুর্দান্ত স্ট্রোক–প্লের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বাংলাদেশের বোলাররা। ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলায় শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেটের জয়ে তাঁকে ম্যাচসেরা হিসেবে বেছে নিতে অসুবিধা হয়নি নির্বাচকদের।