বৃহস্পতিবার রাত কেমন কাটল? নিশ্চয়ই স্টিভ স্মিথের চেয়ে ভালো। অস্ট্রেলিয়ার এই সহ–অধিনায়ক হোটেলের লিফটে প্রায় এক ঘণ্টা আটক ছিলেন। লিফটে আটক থাকা অবস্থায় ইনস্টাগ্রামে লাইভ ভিডিওতে নিজের পরিস্থিতি জানানোর পাশাপাশি মজাও করেন এই অস্ট্রেলিয়ান তারকা। পার্ক হায়াত মেলবোর্নের হোটেলে ২০ তলার ওপর লিফটে প্রায় ৫৫ মিনিট আটকে ছিলেন তিনি। অ্যাশেজে স্টোকস–বেয়ারস্টোরা যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, স্মিথের লিফটে আটকে থাকাটা যে তার চেয়ে বেশি সময় ধরে, এ নিয়ে রসিকতাও করেছেন অনেকেই।

স্মিথের সঙ্গে মজা করছিলেন লাবুশেন
ফাইল ছবি: এএফপি

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিওটি শেয়ার করেন স্মিথ। স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ লিফটে আটকা পড়ার পর মেঝেতে শুয়েও পড়েন স্মিথ। এ সময় মুঠোফোনে ভিডিও করে নিজের পরিস্থিতি জানান তিনি, ‘রাতটা নিজের পরিকল্পনামতো হয়নি। লিফটে আটকা পড়েছি। দরজা খুলছে না। কোনো কাজই করছে না। চেষ্টা করেছি দরজা খোলার। ওপাশ থেকে মারনাসও (লাবুশেন) দরজা খোলার চেষ্টা করছে।’

ভিডিওতে দেখা যায় লিফটের ওপাশ থেকে দরজা খানিকটা ফাঁক করে স্মিথকে চকলেট দিচ্ছেন লাবুশেন। স্মিথ যেন মুষড়ে না পড়েন, তাঁকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতেই কাজটি করেন মিডল অর্ডারে তাঁর ব্যাটিং সতীর্থ। মুখে হাসি রেখে স্মিথ বলেন, ‘মেঝেতে শুয়ে আছি। মজার কিছু নেই। মোটেও ভালো লাগছে না।’

জেলি বিন পেয়ে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমেছিল স্মিথের
ছবি: সংগৃহীত

তবে লিফটের দরজা যেহেতু তখন খুলছিল না, সময় কাটাতে স্মিথ তাই অন্য উপায় বের করেন। ইনস্টাগ্রামের ফিল্টার ব্যবহার করে যুক্তরাস্ট্রের ইলেকট্রনিক নাচের চাচা–ভাতিজা জুটি রেডফো ও স্কাইব্লুর একটি গানে নিজের মুখ বসান স্মিথ। গানের সে ভিডিও ভক্তদেরও দেখান তিনি। অস্ট্রেলিয়ান তারকা এ সময় প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মুখের হাসি আটকে রাখতে পারেননি। টেকনিশিয়ানের দল আসার পর স্মিথের মুখের হাসি আরও চওড়া হয়। ‘উদ্ধারকর্মীর দল’—বলে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। ‘৫৫ মিনিট লাগল, মনে হচ্ছিল আর কখনোই বের হতে পারব না’—লিফট থেকে বের হওয়ার পর বলেন স্মিথ।

স্মিথের লিফটে আটকে পড়া নিয়ে রসিকতা করতে ছাড়েননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। চলতি অ্যাশেজে মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। এই দ্বিতীয় ইনিংসে শুধু জো রুটই যা একটু প্রতিরোধ গড়েন। ১০১ মিনিট উইকেটে থেকে ২৮ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

বাকিদের মধ্যে শুধু হাসিব হামিদ ৫২ মিনিট উইকেটে ছিলেন। অর্থাৎ, রুট বাদে ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটসম্যানরা যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, সে তুলনায় স্মিথ লিফটে বেশি সময় আটক ছিলেন। এক ক্রিকেটপ্রেমী তাই মজা করে মন্তব্য করেন, ‘সে (স্মিথ) ইংলিশ ব্যাটসম্যান হলে আরও দ্রুত আউট (বের হতে) হতে পারত।’