ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘প্রথম লড়াইয়ে’ ‘সুযোগে’ চোখ বাংলাদেশের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানের সতীর্থ জস বাটলার আর বেন স্টোকস। কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাকিব আল হাসান খেলেন এউইন মরগানের সঙ্গে। অন্যান্য টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটাররা একই দলে কিংবা একে অন্যের বিপক্ষে অনেকবারই মাঠে নেমেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ।

২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও ১১৪টি ম্যাচ খেলে ফেললেও কেন যেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কখনোই খেলা পড়েনি বাংলাদেশের। এমনিতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খুব বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা হয় না বাংলাদেশের। কিন্তু টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক আসরেও কখনোই ২০ ওভারের ম্যাচে মুখোমুখি হয়নি এ দুই দল।

টি–টোয়েন্টির এক নম্বর দল ইংল্যান্ড
ছবি: আইসিসি

এ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর দল ইংল্যান্ড। আজ আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে সেই ‘এক নম্বর’ ইংল্যান্ডেরই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খুব ভালো অবস্থানে নেই মাহমুদউল্লাহর দল। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল বড় এক ধাক্কা। সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করারও হার পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান করেও হারতে হয়েছে। তাই আজ ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি লড়াইটা যে কঠিন হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য, এটা না বললেও চলছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম মোকাবিলায় অবশ্য সতর্ক ইংলিশরা। কাল দলের অন্যতম তারকা জস বাটলার সেটিই বলেছেন, ‘দলটা শক্তিশালী। গত কয়েক বছর ওরা অনেক সাফল্য পেয়েছে, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। এখন যে ধরনের কন্ডিশন থাকবে, সেটার সঙ্গে ওদের পরিচয় থাকার কথা। আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জই প্রত্যাশা করছি।’

ইংল্যান্ড সুযোগ দেবে, সেই সুযোগই কাজে লাগাতে হবে
ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ অবশ্য কঠিন এ লড়াইয়ে প্রেরণা খুঁজে নিতে পারে অন্য একটি জায়গা থেকে। খেলাটা হচ্ছে আবুধাবিতে। ইংল্যান্ড এ কারণেই বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ মনে করছে, ‘বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুবই ভালো দল। আবুধাবির কন্ডিশন অনেকটা তাদের ঘরের মাঠের মতোই।’

তবে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশকে আরও বড় শক্তি ও প্রেরণা জোগাচ্ছেন দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। কয়েক বছর আগে ইংল্যান্ড দলের হয়ে কাজ করা সাবেক এ ক্যারিবীয় তারকা মনে করেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা মেরে খেলবেন, এটা মাথায় নিয়েই আজ বাংলাদেশ মাঠে নামবে। আর তাদের এই ‘ইতিবাচক’ মানসিকতার বিপক্ষে কীভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে, বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা সেটি নিয়েই, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তা থাকবে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের যত ভালো বলই করা হোক, তারা মারবেই। এটা মাথায় রাখতে হবে। এটাই তাদের মানসিকতা। কিন্তু মেরে খেলা মানেই তারা উইকেট নেওয়ার সুযোগ দেবে, আমরা সেই সুযোগই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি না হয়।’

সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি মোকাবিলাটা যে সহজ হয়ে যাবে—এটা না বললেও চলছে। এ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখার উপায়ও এটিই।