সর্বশেষ অ্যাশেজের পর ক্যারিবীয় সফরের আগে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড, যার অন্যতম ছিল তাদের দুই সফলতম পেসার অ্যান্ডারসন-ব্রডকে বাদ দেওয়া। ১১৭৭টি টেস্ট উইকেট নেওয়া দুই সেরা বোলারের শক্তি উপেক্ষাই করেছিল ইংল্যান্ড। এরপর সে সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারলেও রুট তখন দলে ইতিবাচক পরিবেশের কথা বলেছিলেন।
স্টোকস অবশ্য ভাবছেন ভিন্ন ভাবেই। কির সঙ্গে অ্যান্ডারসন-ব্রডের দলে ফেরার ব্যাপারেও একমত তিনি। কি বলেছেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই অভিজ্ঞ দুই পেসারের সঙ্গে কথাও হয়েছে তাঁর, ‘আমি জিমি (অ্যান্ডারসন) ও ব্রডিকে (ব্রড) ফোন করেছিলাম। বলেছি, “আমার দিক থেকে তোমরা দুজন অবশ্যই মৌসুমের প্রথম টেস্টের দলে নির্বাচনের জন্য বিবেচিত হবে”।’
তবে নতুন অধিনায়কের মতটা গুরুত্বপূর্ণ, কি মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘আমি অমন বলতেই পারি এ পদে থেকে। কিন্তু তারা দুজন যেটা জানতে চেয়েছে, অধিনায়কের এ ব্যাপারে কী মত। বেন স্টোকস প্রথম যে ব্যাপারগুলো বলেছে, তার মধ্যে একটি ছিল—জিমি আর ব্রডি ফিরে আসছে। আমি এর সঙ্গে একমত হয়েছি। হ্যাঁ, একমত না হলে হয়তো ভিন্ন কোনো গল্প হতে পারত। তবে এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।’
এমনিতে স্টোকসের অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল নতুন যুগে প্রবেশ করবে, এমন আশা করেছেন কি। সে যুগের শুরুর পরিকল্পনায় অ্যান্ডারসন-ব্রড যে ভালোমতোই আছেন, সেটিও স্পষ্ট করেছেন তিনি, ‘তাদের নিজেদের পরিকল্পনা আছে। কী করতে হবে, টেস্ট ম্যাচের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, সে সব ওই দুজনকে বলে দেওয়ার কিছু নেই। তারা না জানলে কেউই জানবে না। প্রথম টেস্টে নির্বাচনের জন্য বিবেচ্য হতে তাদেরকে ঠিকঠাক থাকতে হবে। তাদের এমন না করারও কোনো কারণ আমি দেখি না। অবশ্যই তাদের বড় একটা ভূমিকা থাকবে।’
কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের গত রাউন্ডেই ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে মাঠে ফিরেছেন অ্যান্ডারসন। নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে চলমান রাউন্ডে খেলছেন ব্রডও। ট্রেন্টব্রিজে উস্টারশায়ারের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেয়েছেন ব্রড। অন্যদিকে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন ২ উইকেট নিয়েছেন ম্যাচের শুরুতেই।
৩৯ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ও ৩৫ বছর বয়সী ব্রডকে নিয়ে অবশ্য এখনোই অনেক দূরের কথা ভাবতে চান না কি, ‘দেখা যাক তাদের কী অবস্থা দাঁড়ায়। প্রথম ম্যাচে খেলে যদি তারা ভালো করে, ইংল্যান্ড ভালো করে, তাহলে পরের টেস্ট, এরপরের টেস্ট—এভাবে খেলবে। যদি ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে অন্য কেউ আসবে। আমার মনে হয় না খুব বেশি চিন্তা করার দরকার আছে। তবে আমরা এগুলো কীভাবে (বাস্তবায়ন) করব, সে ব্যাপার এখনোই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসছি না।’
দুজন পেসারের কেউই এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেন না। এর আগে যে ‘রেস্ট অ্যান্ড রোটেশন’ বা বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর নীতিতে এগিয়েছে ইংল্যান্ড, সেটি একাধিক সংস্করণে খেলা ক্রিকেটারদের জন্যই বেশি প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন কি।