ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে বাবর আজমদের শোচনীয় হার
ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানের একমাত্র দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১০টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেও জিততে পারেনি পাকিস্তান।
এবার সেই খরা ঘোচানোর দারুণ সুযোগ সফরকারী দলের সামনে। পূর্ণ শক্তির ইংল্যান্ড দল ছিল না মাঠে—দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল তারা। কিন্তু সে দলের বিপক্ষেও প্রায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে সিরিজ শুরু করল পাকিস্তান।
করোনার কারণে পুরো ইংল্যান্ড দল আইসোলেশনে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যস্ত বেন স্টোকসকে নিয়ে এসে ‘নতুন’ ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়। সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচে খেলা পুরো দলটা পাল্টে নামানো হয় নতুন এক দল—যা এই সংস্করণে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে কোনো দলের ক্ষেত্রে এই প্রথম নজির।
কিন্তু এই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষেও আগে ব্যাট করতে করে মাত্র ১৪১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। তাড়া করতে নেমে ২১.৫ ওভারে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এ জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
জ্যাক ক্রলি, ফিল সল্ট, লুইস গ্রেগরি, জন সিম্পসন ও ব্রাডন কার্স—এই পাঁচ খেলোয়াড়কে ওয়ানডে অভিষেক করায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রলির সঙ্গে ১০৭ বলে ১২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ১৬৯ বল হাতে রেখে ইংল্যান্ডের দারুণ জয় নিশ্চিত করেন ওপেন করা দাভিদ মালান। ৮ চারে ৬৯ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন তিনি। ৫০ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রলি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভরাডুবির শিকার হয় পাকিস্তান। কালকের ম্যাচের আগে মাত্র ৪ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পেসার সাকিব মাহমুদ ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন। ওপেনার ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমকে দিনের প্রথম তিন বলের মধ্যে বিদায় করেন এই ডানহাতি পেসার।
এরপর ইংলিশ বোলারদের একের পর এক উইকেট উপহার দিতে থাকেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে পাল্টা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছেন শুধু ফখর জামান। ৪৭ রান করে আউট হন তিনি। ৩০ রান করেন শাদাব খান।
পুরো শক্তির দল নিয়েও ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের এমন আশ্চর্য পারফরম্যান্স দেখে মজার এক টুইট করেন মাইকেল ভন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্লেষকের টুইট, ‘পাকিস্তানের খেলা দেখতে ভালো লাগে। এমন একটা দল যারা নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারে, আবার যেকোনো দলের কাছে হারতেও পারে।’