>বেঙ্গালুরুতে চার দিনের ম্যাচে এক দিন হাতে রেখেই ১০ উইকেটে জিতেছে বিসিবি একাদশ।
দেশের ক্রিকেটের জন্য আজকের দিনটা বেশ ভালোই গেছে। চট্টগ্রামে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিশিয়াল ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুতে এক দিন হাতে রেখেই কেএসসিএ সেক্রেটারি একাদশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বিসিবি একাদশ। ডক্টর কে তিম্মাপিয়াহ মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে তৃতীয় ম্যাচে পাওয়া প্রথম এই জয়ে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো মুমিনুলদের।
তিন ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষ বিসিবি একাদশ। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে ডক্টর পাতিল ক্রিকেট একাডেমির চেয়ে ৩২৮ রানে পিছিয়ে দলটি। ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই এখন বেশি।
৩ উইকেটে ১০০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা কেএসসিএ সেক্রেটারি দল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ৩৪০ রানে। ম্যাচ জিততে ৮৬ রানের লক্ষ্য পায় বিসিবি। জহুরুল ইসলাম ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটি ২৪.১ ওভারেই জয় এনে দেন দলকে। বাংলাদেশের টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ৬০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫২ রান। সাদমানের উল্টো মেজাজ ছিল অভিজ্ঞ জহুরুলের ব্যাটে। ৩২ রান করতে ৮৫ বল খেলেছেন ২০১৩ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জহুরুল।
স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১৭ রান করেন অভিনব মনোহর। ৪ উইকেটে ২৩৫ রান তুলে ফেলা কেএসসিএ ১০৫ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট। বিসিবির হয়ে ৮৪ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পেসার ইবাদতের। ২ উইকেট করে পেয়েছেন শহীদুল, আরিফুল ও মুমিনুল।
এর আগে গতকাল দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫৫ রানে এগিয়ে ছিল বিসিবি একাদশ। পরশু কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ) সেক্রেটারি একাদশকে ৭৯ রানে অলআউট করে মুমিনুল হকের দল। ৩ উইকেটে ১৩৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করা বিসিবি কাল অলআউট ৩৩৪ রানে। কেএসসিএ সেক্রেটারি একাদশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে।
কাল দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলামকে (২৮) হারায় বিসিবি। ২৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা নাজমুল হোসেন (শান্ত) ফিরেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৭২ রান করে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানের ১২৫ বলের ইনিংসে চার ১১টি। দলকে ২০৬ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট নাজমুল। বিসিবি এরপর ৩০০ পেরিয়েছে নুরুল হাসান, সানজামুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলামের ব্যাটে ভর করে। ৮৭ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুলের। নয়ে নেমে সানজামুল ৩৩ ও দশে নেমে ২৪ রান করেছেন শহীদুল। কেএসসিএর বাঁহাতি স্পিনার ডোড্ডামনি আনন্দ নিয়েছেন ৪ উইকেট।
৫৯ রানের মধ্যেই স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩টি উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন বিসিবির দুই পেসার ইবাদত ও শহীদুল। ৪০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন ইবাদত, প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তরুণ শহীদুল ১ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ রান খরচায়।