এখনো যে স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ
সময় কত দ্রুতই না যায়! আগামীকালই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৪ বছর হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ শ্রীলঙ্কার মোরাতুয়ায় এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক বাংলাদেশের। সেই প্রথমের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এরপর এসেছে আরও কত কত ‘প্রথম’। প্রথম রান, প্রথম উইকেট, প্রথম ফিফটি, প্রথম ৪ উইকেট, প্রথম সেঞ্চুরি, প্রথম ৫ উইকেট, প্রথম জয়, প্রথম ড্র—আরও কত ‘প্রথম’কে মনে করিয়ে দেয় স্মৃতি।
তবে একটি ‘প্রথম’ এখনো ধরা দেয়নি বাংলাদেশকে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৫৯১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে এখনো লাল-সবুজের দলের ফলের ঘরে ‘টাই’ শব্দটা বসেনি একবারও। আর তাই এখনো সুপার ওভার নামের লটারিতেও নামতে হয়নি বাংলাদেশকে।
অন্যান্য দলের পরিসংখ্যান দেখলে ব্যাপারটাকে একটু অদ্ভুতই মনে হবে। বাংলাদেশ ছাড়া টেস্ট খেলুড়ে অন্য ১১টি দলেরই কোনো না কোনো সংস্করণে ম্যাচ টাই করার অভিজ্ঞতা আছে। টেস্ট খেলুড়েদের বাইরে কুয়েত, হল্যান্ড, কাতার, স্কটল্যান্ড, কানাডা, গার্নসি, জার্সির মতো দলও টাই করেছে।
যে সব দল ১০০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া টাই করেনি শুধু দুটি দল—কেনিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুটি দলই অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেছে। আমিরাত খেলছে ১০৮টি ম্যাচ। আর এক সময়ে বাংলাদেশের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী কেনিয়া খেলেছে ১৯২ ম্যাচ।
মুদ্রার উল্টোপিঠে অবস্থান নিউজিল্যান্ডের। বছরখানেক ধরে টাই করাটাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ডের দখলেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ টাই করার রেকর্ড। গত এক বছরে বিশ্বকাপ ফাইনাল ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ টাই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে রেকর্ডটা কেড়ে নিয়েছে কিউইরা। ১৫টি ম্যাচ টাই করেছে নিউজিল্যান্ড, ক্যারিবীয়রা টাই করেছে ১৪ ম্যাচ। ১৩টি করে টাই নিয়ে তৃতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
বাংলাদেশ অবশ্য বেশ কয়েকবারই টাই করি করি করেও হয় জিতেছে অথবা হেরেছে। সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালটাই যেমন। মাহমুদউল্লাহর করা শেষ বলে লেগ বাই থেকে একটি রান না এলেই বাংলাদেশ-ভারতের ফাইনালটি চলে যেত সুপার ওভারে।
মুদ্রার উল্টোপিঠও দেখা আছে বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ওয়ানডেটা বাংলাদেশ জিতেছিল শেষ বলে ১ রান নিয়ে ১ উইকেট হাতে রেখে।