এবার ধোনির জাদু কাজে আসছে না

প্রিয়ম গর্গ ও অভিষেক শর্মার ৭৭ রানের জুটিই লড়ার মতো স্কোর এনে দেয় হায়দরাবাদকেছবি: বিসিসিআই
টানা তিন ম্যাচ হারল এমএস ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস। পরপর দুই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং জেতাল দলকে।

প্রথম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়ে যেন আরেকবার আইপিএলে নিজেদের আধিপত্যের জানান  দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু এরপরের দুই ম্যাচেই দেখা গেল অন্য ছবি।  রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে বলতে গেলে কোনো রকম চেষ্টা ছাড়াই হেরেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।

শেষ হয়ে গেছে ধোনি জাদু?
ছবি: বিসিসিআই

কিন্তু ধোনি চেন্নাইয়ের অধিনায়ক বলেই যেকোনো সময় দলটা ঘুরে দাঁড়াবে—এমন আশা ছিল দলটির সমর্থকদের। আইপিএলের গত ১২ বছরে বারবার যা করে দেখিয়েছে চেন্নাই। কিন্তু ৭ দিন বিশ্রামের পর আইপিএলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে আবারও সেই ছবি। এবার প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ১৬৪ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৫৭  রানেই থেমে গেছে তিনবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা।

আগে ব্যাট করে হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন তরুণ প্রিয়ম গর্গ। ইনিংসের ১১ ওভারের মধ্যেই হায়দরাবাদ তিন ব্যাটিং স্তম্ভ ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো ও কেন উইলিয়ামসন আউট হন। দলের রান তখন ৬৯। সেখান থেকে দুই তরুণ ভারতীয় প্রিয়ম গর্গ ও অভিষেক শর্মা মিলে জুটি গড়েন ৭৭ রানের।

হতাশা নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি
ছবি: বিসিসিআই

ম্যাচটা ঘুরে যায় এই এক জুটিতেই। অভিষেক ৩১ রান করে আউট হলেও প্রিয়মের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো অপরাজিত ৫১ রান। এক জুটিতেই চেন্নাইয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৫ রান।

তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের শুরুটাও হয় ঠিক হায়দরাবাদের মতো। ৯ ওভারে ৪২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে চেন্নাই। মাঝের ওভারেই ক্রিজে নামতে হয় রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। প্রিয়ম-অভিষেকের মতো ম্যাচ জেতানো জুটি গড়তে পারেননি জাদেজা-ধোনিরা। জাদেজা ৩৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন।

ধোনি শুরুতে বল খরচা করে বিপদে পড়েন শেষে এসে। তাঁর ৩৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারেনি চেন্নাইকে। ৭ রানে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচ জিতে নেয় হায়দরাবাদ। অথচ এমন সব ম্যাচে সেরা সময়ের ধোনি বলে-কয়ে জিতিয়ে আসতেন। কে জানে, হয়তো বয়সের কাছে অবশেষে হার মানতে হচ্ছে আধুনিক ক্রিকেটের এই কিংবদন্তির!