কেন ক্যাচ ফসকাচ্ছে, জানেন না ডমিঙ্গো
চাইলেই ক্যাচটা নিতে পারতেন লিটন দাস। হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের শটটা এত ওপরে উঠেছিল, লিটনের হাতেও সময় ছিল পর্যাপ্ত। তবে ক্যাচ নিতে উদ্যত নাসুম আহমেদকে দেখে একটু এগিয়ে আর এলেন না বাংলাদেশ উইকেটকিপার।
নাসুম গড়বড় করে ফেললেন। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ব্রেক থ্রুটাও পাওয়া হলো না বাংলাদেশের, তখনো কোনো রান না করা জাজাই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ৪৫ বলে ৫৯ রান করে।
নাসুমের ওই মিসটাই ম্যাচে একমাত্র হয়ে থাকলে তবু কথা ছিল। এক উসমান গনিই এরপর বাঁচলেন দুবার। মিড উইকেটে দুবারই ছিল সহজ ক্যাচ। প্রথমে আফিফ হোসেন নিতে পারলেন না। এরপর মোহাম্মদ নাঈম তো শুধু ক্যাচ মিস করলেন না, সে বলটা শেষ পর্যন্ত হয়ে গেল চারই।
১১৫ রানের সম্বল নিয়ে লড়াইয়ের আশা করতে গেলে ফিল্ডিংয়ে যেমন তীক্ষ্ণ হওয়া দরকার, বাংলাদেশ আজ থাকল ঠিক বিপরীতমুখী। তবে এই ক্যাচ মিস করার সমস্যাটা নতুন নয় মোটেও। বাংলাদেশের এ সমস্যার কথা বলতে গেলে হয়তো বলতে হবে ‘সেই কবে থেকে!’ ধরনের কোনো কথাই।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে রীতিমতো অসহায়ত্বই ফুটে উঠল বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠে। জানালেন, কেন ক্যাচ হাতছাড়া হচ্ছে, সেটি তিনি জানেন না। শুধু ভুল হয়ে যাচ্ছে, জানেন সেটি।
সংস্করণ যেটিই হোক, বাংলাদেশের ক্যাচ হাতছাড়া এখন নিয়মিত ঘটনাই। ডমিঙ্গো নিজেই বললেন, ‘সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ৯টি ক্যাচ মিস হয়েছে। যদি জানতাম কেন হচ্ছে, তাহলে তো সেটা করত না কেউ। এটি মনোযোগের ব্যাপার, না আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার, নাকি চাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার—আমি আসলে নিশ্চিত না। আমাদের শুধু ভুল না করার ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, ফিল্ডিংয়ে ভুল করেছি আমরা।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন রাজিন সালেহ। দীর্ঘ মেয়াদে সর্বশেষ এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান রায়ান কুক। তবে কুকের সঙ্গে বিসিবি সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আগেই।
ডমিঙ্গো জানেন, ক্যাচ হাতছাড়া হলে কী হয়।
তবে অনুশীলন বা প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে বলেও মনে করেন না তিনি, ‘বিশ্বকাপে সেটার (ক্যাচ হাতছাড়া করার) মাশুল দিতে হয়েছে, এখানেও দিতে হলো। টেস্ট ম্যাচেও ভুগিয়েছে, ক্যাচ মিস বেশি হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনুশীলনে অনেক ক্যাচ নিতে পারেন, সব ড্রিল করতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট দিনে ম্যাচের সময়ই ক্যাচ নিতে হবে। এটাই মূল কথা।’