কোহলির বেঙ্গালুরুর হারে নিশ্চিত ধোনির চেন্নাইয়ের সেরা দুইয়ে থাকা
একেবারে অঙ্কের হিসাবে চূড়ান্ত করে বলা যাচ্ছে না ঠিকই, তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর যে এবারের আইপিএলের সেরা দুইয়ে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করা হচ্ছে না, তার নিশ্চয়তা দেওয়াই যায়!
বেঙ্গালুরুর প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। নিশ্চিত হয়েছে আজ আইপিএলে বেঙ্গালুরুর প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়াও। তবে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিতে হায়দরাবাদের বিপক্ষে আজ জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বেঙ্গালুরুর জন্য। তা আর হলো না।
হায়দরাবাদকে ১৪১ রানে আটকে দিলেও শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরে গেছে বিরাট কোহলির দল। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের সেরা দুইয়ে থাকাও।
এখনো গ্রুপে একটা করে ম্যাচ বাকি আছে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকা বেঙ্গালুরু (১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট) ও দুইয়ে থাকা চেন্নাইয়ের (১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট)। কিন্তু রানরেটে কোহলিদের চেয়ে (+)০.৮৯৮ ব্যবধানে এগিয়ে চেন্নাই।
বেঙ্গালুরুর শেষ ম্যাচ আবার এই মুহূর্তে শীর্ষে থাকা (১৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট) দিল্লি ক্যাপিট্যালসের সঙ্গে, চেন্নাইয়ের ম্যাচ কাল পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে।
ম্যাচ শেষের তাৎক্ষণিক হিসাব, কোহলিদের সেরা দুইয়ে ওঠার সমীকরণটা এই—শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে জিততে হবে প্রায় ১১৫ রানের ব্যবধানে, প্রায় একই ব্যবধানে নিজেদের ম্যাচে হারতে হবে ধোনির চেন্নাইকে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা ঠিকই, তবু এতটাও নিশ্চয়ই নয়!
এই সমীকরণের সামনে কোহলিদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আজকের হার। আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জেসন রয়ের ৩৮ বলে ৪৪ রানের পর অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের ২৯ বলে ৩১ রানই হায়দরাবাদের ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এর পাশাপাশি প্রিয়াম গার্গ (১৫) ও জেসন হোল্ডারের (১৬) ছোট ইনিংসগুলোও রেখেছে দারুণ অবদান।
বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার হার্শাল প্যাটেল, ১৪ রান দিয়ে ২টি নিয়েছেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। ১টি করে উইকেট যুজবেন্দ্র চাহাল ও জর্জ গার্টনের।
কিন্তু বোলাররা দারুণভাবে কাজটা অর্ধেক করে দিয়ে গেলেও সেটির সুবিধা নিতে পারেননি কোহলিরা। প্রথম ওভারের শেষ বলেই কোহলি আউট হয়ে গেছেন ৫ রান করে। ড্যান ক্রিস্টিয়ান আর শ্রিকার ভরতও ফিরেছেন দলীয় ৩৮ রানের মধ্যে।
ধাক্কা সামলাতে একটা জুটি দরকার ছিল বেঙ্গালুরুর। চতুর্থ উইকেটে ম্যাক্সওয়েল ও ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কালের ৫৪ রানের জুটিও হয়েছে। কিন্তু পাড়িক্কাল ৪১ রান করেছেন ৫২ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসেই ৫০ বা তার বেশি বলের ইনিংসের মধ্যে দ্বিতীয় ধীরতম। আর ম্যাক্সওয়েল টানা চতুর্থ ফিফটি পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে ফিরেছেন ২৫ বলে ৪০ রান করে।
এবি ডি ভিলিয়ার্স এরপরও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাঁর ১৩ বলে ১৯ কিংবা শাহবাজ নাদীমের ৯ বলে ১৪ রানের ইনিংস শুধু বেঙ্গালুরুকে হায়দরাবাদের স্কোরের কাছেই নিয়ে গেছে, পেরিয়ে যেতে পারেনি।