তবে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে উইকেট খরা পুষিয়ে দিয়েছেন তাসকিন। দারুণ লাইন-লেংথে আফগান ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ রহমত শাহকে আউট করেন তিনি। লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী হন রহমত। আরেক অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবিও তাসকিনের অফ স্টাম্পের বাইরের ফাঁদে পা দেন।
আর ইনিংস জুড়ে ধারবাহিক ছিলেন বাকি দুই পেসার মোস্তাফিজ ও শরীফুল। তাসকিনের বলে জীবন পেলেও মোস্তাফিজের বলে বল আকাশে তুলে আউট হন গুরবাজ। ইব্রাহিমকেও বেশিক্ষন টিকতে দেননি আরেক বাঁহাতি শরীফুল। দুজন মিলেই নিয়েছেন আফগানদের পাঁচ উইকেট। ১৯.১ বল করে দিয়েছেন মাত্র ৭৩ রান। বাঁহাতি পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে যেন কোনো উত্তরই খুঁজে পাননি সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা। ৬৭ রান করে আফগান ইনিংস আঁকড়ে ধরে রাখা নাজিবুল্লাহ জাদরানও ছিলেন শরীফুলের গতির শিকার।
আফগানদের এই গতি-দুর্বলতা নতুন কিছু না। রহমত শাহর কথাই ধরুন। এই ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে আফগানিস্তান দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ধরা হয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানদের এই দলের সর্বোচ্চ ৫টি শতকের মালিক একমাত্র রহমতই। কিন্তু গতির বিপক্ষে এই আফগান ব্যাটসম্যানকে নড়বড়েই মনে হয়। স্পিনে আবার বেশ সাবলীল। ওয়ানডে ক্রিকেটে পেসের বিপক্ষে রহমত আউট হয়েছেন ৩৮ বার, স্পিনে সেটি কমে আসে ৩২-এ।
পার্থক্যটা আফগান দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। আরেক অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ জাদরান ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৫ বার পেসের বিপক্ষে আউট হয়েছে, স্পিন তাঁকে থামিয়েছে মাত্র ১৯ বার। মোহাম্মদ নবিও গতির (৫৬) চেয়ে স্পিনই (৩৫) বেশি পছন্দ করেন। আফগান দলের এই গতির ভীতিটা চোখ এড়ায়নি বাংলাদেশ দলের।
প্রতিপক্ষের দুর্বলতা নিজেদের পক্ষে কাজে লাগিয়ে আফগানদের ২১৫ রানে অলআউট করেছে তাসকিনরা। ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছে তাসকিন। মোস্তাফিজ ৯.১ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। শরীফুল ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে নিয়েছেন ২টি উইকেট।